শেষ ওভারের নাটকের গল্প শোনালেন শরিফুল
জেতা ম্যাচ হেরে বসার পুরোনো বদঅভ্যাস আছে বাংলাদেশ দলের। শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে বহুবার হাতছাড়া হয়েছে সহজ সুযোগ। সেসবের জন্য কখনও কখনও দিতে হয়েছে বড় মাশুল। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে গতকাল শুক্রবারেও (১৪ জুলাই) প্রায় ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিল সাকিব আল হাসানের দলের।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ছয় রান। হাতে পাঁচ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ বাউন্ডারি মেরে প্রয়োজন নামিয়ে আনেন পাঁচ বলে দুই রানে। এরপর ছন্দপতন। টানা তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন করিম জানাত। আরও একটি হারের শঙ্কা তখন চোখ রাঙাচ্ছিল।
পঞ্চম বলে চার মেরে এ যাত্রায় বাংলাদেশকে বাঁচান শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশ পায় রুদ্ধশ্বাস জয়। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি ফেটে পড়ে উল্লাসে। ক্রিজে নামার পর শরিফুলকে কিছু একটা বলতে দেখা যায় অপরপ্রান্তের সেট ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়কে। হৃদয়ের কথাতেই প্রেরণা পান শরিফুল।
অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে উঠে আসেন দুজনই। তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটাও তাই ভালো। শরিফুল নামার পর হৃদয় তাকে বলেন, ‘যদি বল ব্যাটে নাও লাগে, তাও তুই দৌড় দিস। এরপর আসার সময় বলেছি, ম্যাচটা তুই জিতাবি।’
হৃদয়ের যেমন আস্থা ছিল শরিফুলের প্রতি, শরিফুলও সমান আস্থা রেখেছিলেন। আজ শনিবার (১৫ জুলাই) শরিফুল বলেন, ‘হৃদয় সেট ব্যাটার ছিল। তার প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। ওর সঙ্গে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপসহ অনেকদিন খেলেছি। জানতাম, আমি যদি ব্যাটে না-ও লাগাতে পারতাম এবং সে স্ট্রাইকে আসত; তাহলে ম্যাচটা ফিনিশ করে আসত।’
সেটির অবশ্য প্রয়োজন পড়েনি। শরিফুল কথা রেখেছেন।এক বলে তার এই চার রান দলকে এগিয়ে নিল সিরিজে। যা আত্মবিশ্বাস জোগাবে আগামীকাল রোববার (১৬ জুলাই) অনুষ্ঠেয় শেষ টি-টোয়েন্টিতে।