ভারতকে সিরিজ হারের লজ্জা দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুযোগ ছিল তৃতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার। তবে পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে সফরকারী ভারত। ব্যবধান কমালেও সিরিজ বাঁচাতে পারেনি হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ১৭ বছর পর পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারের লজ্জা।
গতকাল রোববার (১৩ আগস্ট) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮ উইকেটের জয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল ক্যারিবীয়রা।
১৬৬ রানের মাঝারি সংগ্রহের বিপরীতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রত্যাশিত শুরু করতে পারেনি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ১২ রানের মাথায় কাইল মায়ার্সের উইকেট হারায় দলটি। ৫ বলে ১০ রান করে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপরই ব্রেন্ডন কিং ও নিকোলাস পুরান মিলে দুর্দান্ত ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন।
১১৯ রানের মাথায় পুরাণ বিদায় নিলেও শাই হোপ-ব্র্যান্ডন জুটিতে জয় পেতে সমস্যা হয়নি ক্যারিবীয়দের। ৫৫ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ব্র্যান্ডন। আর পুরাণ খেলেন ৩৫ বলে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংস। এতেই জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। দলীয় ৬ রানের মাথায় যশস্বী জসওয়ালের বিদায়ে প্রথম ধাক্কা খায় ভারত। ৪ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই ব্যাটার। এরপর সুর্যকুমার যাদবকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শুভমান গিল। তবে তাদের সেই চেষ্টাও সফল হয়নি। দলীয় ১৭ রানের মাথায় ৯ বল থেকে ৯ রান করে ফেরেন শুভমান।
তার বিদায়ের পর অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ভারত। তিলক ভার্মা ও যাদবের ব্যাটে ভর করে চাপ সামাল দেয় টিম ইন্ডিয়া। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় ফেরেন ১৮ বলে ২৭ রান করা তিলক। এরপর সানজু স্যামসন ও সুর্যকুমার মিলে ফের জুটি গড়েন। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় ২০০ পেরোনো লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারেনি ভারত। শেষমেশ ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোবোর্ডে ১৬৫ রানের বেশি জড়ো করতে পারেনি সফরকারীরা।