আর্জেন্টিনাসহ ছয় দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ ২০৩০
বিশ্বকাপের শতবার্ষিকী উদযাপন হবে ২০৩০ সালে। এই অনন্য মুহূর্ত উদযাপনে পুরো বিশ্বকে একত্রিত করতে চেয়েছে ফিফা। সাত বছর পরের ফুটবল মহাযুদ্ধ হতে যাচ্ছে তিনটি মহাদেশের ছয়টি দেশে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ২০৩০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশগুলোর নাম ঘোষণা করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ইউরোপের স্পেন ও পর্তুগাল, আফ্রিকার মরক্কো এবং দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে হবে ম্যাচগুলো।
বিশ্বকাপটির যৌথ আয়োজক হতে সম্মিলিতভাবে প্রস্তাব করেছিল মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল। সর্বসম্মতিক্রমে তাদেরকেই বেছে নিয়েছে ফিফা কাউন্সিল। ওই বছর বাছাইপর্বে খেলা ছাড়াই এই তিনটি দেশ সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষে একটি করে ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল উরুগুয়েতে। সেবার মন্তেভিদিও শহরের এস্তাদিও সেন্তেনারিওতে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজনের একমাত্র প্রার্থী হবে মরক্কো, পর্তুগাল ও স্পেনের সম্মিলিত বিড। তারা ২০৩০ সালের আসরটি আয়োজন করবে। বাছাইপর্বে মহাদেশভিত্তিক বর্তমান বরাদ্দকৃত স্লট থেকে তারা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।’
ফিফার বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রথম বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে, ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদিওতে একটি অনন্য শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে। সেখানে ১৯৩০ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাশাপাশি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে। ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বিবেচনা রাখা হয়েছে এশিয়া ও ওশেনিয়া মহাদেশের দেশগুলোকে।’
তিন মহাদেশে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রসঙ্গে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘২০৩০ সালে, আমরা অনন্য এক বৈশ্বিক পদচিহ্ন রাখতে যাচ্ছি। তিন মহাদেশ আফ্রিকা, ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার ছয় দেশ আর্জেন্টিনা, মরক্কো, প্যারাগুয়ে, পর্তুগাল, স্পেন ও উরুগুয়ে একসঙ্গে বিশ্বের সুন্দর খেলাটি উদযাপনে একত্রে স্বাগত জানাবে।’
বিশ্বকাপকে নিয়ে বেশ বড়সড় পরিকল্পনা ফিফার। তাই এখন মহাদেশভিত্তিক আয়োজনের পথে হাঁটছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাপী ফুটবলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতেই এমন উদ্যোগ ফিফার। এমনকি, ২০২৬ বিশ্বকাপেও দলের পাশাপাশি বাড়ছে আয়োজকের সংখ্যা। তিন দেশে অনুষ্ঠিত হবে আগামী বিশ্বকাপ।