শ্রীলঙ্কার বোলিং দাপটে অল্পতে শেষ ইংল্যান্ড
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অতীত ইতিহাস বেশ খারাপই বলা চলে। সর্বশেষ চার বিশ্বকাপে প্রতিবারই ইংলিশ হারিয়েছে লঙ্কানরা। ২০০৭ থেকে ২০১৯, চার আসরের কোনোটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে জিততে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের বাইরে দুই দলের সর্বশেষ চার দেখায় দুটি করে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। শেষ দুই ম্যাচে জয়ের হাসি হেসেছে ইংল্যান্ড।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) আরেকটি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে ইংল্যান্ড। কিন্তু, লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে ৩৩.২ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয় থ্রি লায়ন্সরা।
দুই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান মিলে শুরুটা মন্দ করেননি। ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন দলকে। ২৫ বলে ২৮ রান করা মালানকে কুশাল মেন্ডিসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এই ম্যাচ দিয়েই লঙ্কানদের বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। রান আউটে কাটা পড়ে তিন রানে সাজঘরে ফেরেন জো রুট।
আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো আউট ৩১ বলে ৩০ করে। তাকে আউট করেন কাসুন রাজিথা। ইংলিশদের দলীয় রান ১০০ ছোঁয়ার আগেই নেই পাঁচ উইকেট। ৮৫ রানে পাঁচ উইকেট খোয়ানো ইংলিশরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি একবারের জন্যেও। আসা যাওয়ার মিছিলের মধ্যেই এক প্রান্ত আগলে রাখেন বেন স্টোকস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন তিনি। ৭৩ বলে ৪৩ রান করে লাহিরু কুমারার শিকারে পরিণত হন। স্টোকস আউট হওয়ার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি থ্রি লায়ন্সরা। থেমে যায় ১৫৬ রানে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে তিন উইকেট নেন করে কুমারা। দুটি করে উইকেট পান রাজিথা ও ম্যাথুস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ৩৩.২ ওভারে ১৫৬/১০। (বেয়ারস্টো ৩০, মালান ২৮, রুট ৩, স্টোকস ৪৩, বাটলার ৮, লিভিংস্টোন ১, মঈন ১৫, ওকস ০, উইলি ১৪*, রশিদ ২, উড ৫; দিলশান ৫-০-৩৭-০, রাজিথা ৭-০-৩৬-২, থিকসানা ৮.২-১-২১-১, ম্যাথুস ৫-১-১৪-২, কুমারা ৭-০-৩৫-৩, ডি সিলভা ১-০-১০-০)