নিয়োগের একদিনের মাথায় চাকরি খোয়ালেন বাট
টিম ম্যানেজমেন্টকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ায় চমক জাগানিয়া এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের পরামর্শদাতা হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া হয় স্পট ফিক্সিং কান্ডে বিতর্কিত সাবেক ক্রিকেটার সালমান বাটসহ তিন ক্রিকেটারকে। এ নিয়ে সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠে সমালোচনার ঝড়। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয় যে, নিয়োগের একদিনের মাথায় চাকরি হারাতে হলো বাটকে।
গতকাল শনিবার (২ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ এক সংবাদ সম্মেলনে বাটের নাম সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান। তার পরিবর্তে ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার আসাদ শফিককে নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করা হবে।
ওয়াহাব রিয়াজ বলেন, ‘সালমান বাটকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে আমার সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমি বন্ধুত্বকে প্রাধান্য দিয়েছি। এটা আমি হতে দিতে পারি না। যে কারণে আমি বাটকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি। আপাতত আসাদ শফিককে নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করছি আমরা।’
এই প্যানেলে বাটের সঙ্গী হিসেবে আরও ছিলেন কামরান আকমল ও রাও ইফতিখার আনজুম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের সিরিজের জন্য দল নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল তাদের। গত শুক্রবার বাট, কামরান আকমল ও রাও ইফতিখার আনজুমকে প্রধান নির্বাচকের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। ঘোষণার পরপরই পরামর্শক প্যানেলটি নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে সমালোচনা শুরু হয়।
স্বজনপ্রীতি থেকে পরামর্শক প্যানেলে তিন পাঞ্জাব অঞ্চলের সাবেক ক্রিকেটার নেওয়া হয়েছে বলে সমালোচনা ওঠে। কারণ, তারা সবাই পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের, যেটি দেশটির ক্রিকেটে অনেক আগে থেকেই প্রভাবশালীর ভূমিকায় আছে। এমনকি, ওয়াহাব নিজেও পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রী।
সবচেয়ে বেশি বিতর্ক ওঠে বাটের নিয়োগ নিয়ে। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবারই প্রথম পিসিবিতে কোনো পদ পেয়েছেন তিনি। তবে, জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর দাবি, বাটকে নির্বাচকের পরামর্শক পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে পিসিবির ভেতর থেকেই আপত্তি ছিল।