সাকিবের রংপুরের সামনে পারল না কুমিল্লা
রান তাড়ার শুরুটা ছিল চরম হতাশার। দুই ভরসার মুখ লিটন দাস ও রিজওয়ান—দুজনকেই হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেই ধাক্কা সামলে কুমিল্লাকে পথ দেখান দুই দেশি তরুণ তাওহিদ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনের প্রতিরোধ ভাঙলে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতে পারেনি কুমিল্লা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ৮ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরল সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রান তোলে রংপুর। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন বাবর আজম।
জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৫৭ রানে থামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রান তাড়ায় শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ডেলিভারিতে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন ডানহাতি এ ওপেনার।
এরপর ১৭ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার রিজওয়ান। মোহাম্মদ নবীর বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। জোড়া ধাক্কার পরও অবশ্য থমকে যায়নি কুমিল্লা। ওয়ানডাউনে নামা অঙ্কন ও তাওহিদ মিলিয়ে উপহার দেন চমৎকার জুটি।
এই জুটিতে ভর করেই জয়ের পথে হাঁটছিল কুমিল্লা। কিন্তু অঙ্কনকে বিদায় করে সেই আশা ভেস্তে দেন হাসান মাহমুদ। ৫৫ বলে ৬৩ করে থামে অঙ্কনের প্রতিরোধ, ভাঙে ৫৩ রানের জুটি।
ব্যাট হাতে নেমে ঝড় তোলার আগেই বিদায় নেন খুশদিল শাহ। তবে উইকেটে থিতু ছিলেন তাওহিদ। লেজের ব্যাটারদের নিয়ে টানছিলেন দলকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি দলকে জেতাতে। তিনি ৩৯ রানে ফিরলে ১৫৭ রানে থেমে যায় কুমিল্লা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেয় দুই ওপেনার বাবর আজম ও ব্রেন্ডন কিং। তবে, দলীয় ১৮ রানের মাথায় কিংয়ের উইকেট হারায় রংপুর। স্পিনার তানভীর ইসলামের বলে স্ট্যাম্পড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১২ বলে ১৪ রান আসে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে।
কিংয়ের বিদায়ের পর ফজলে মাহমুদকে নিয়ে জুটি গড়েন বাবর। এই জুটিতে যোগ হয় ৫৫ রান। অবশেষে, দলীয় ৭৩ রানের মাথায় বাবরের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৬ বলে ৩৭ রান করে খুশদিল শাহ এর বলে বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন বাবর।
বাবরের বিদায়ের পর আরেক ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২১ বলে ৩০ রান করেন রাব্বি। অল্প সময়ে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে রংপুর। সেই চাপ আরও বাড়ে শামীম পাটোয়ারির বিদায়ে। ১৮ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই এই ব্যাটার।
শামীমের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এই ব্যাটারের দৃঢ়তায় শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রানে থামে রংপুর। ২০ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি টি উইকেট নেন রেইমন রেইফার।