কিউই তারকার দৃঢ়তায় মান বাঁচল রংপুরের
বিপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত আগেই। জয়ের ছন্দও ধরে রেখেছে শেষ আট ম্যাচে। কিন্তু হঠাৎই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে এলোমেলো রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিং। টপ অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডার কেউ পারেননি জ্বলে উঠতে। স্রোতের বিপরীতে থেকে লড়েছেন জেমি নিশাম। কিউই তারকার দৃঢ়তায় কুমিল্লাকে ১৫১ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স।
বিপিএলের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৫০ রান তুলেছে রংপুর রাইডার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেছেন নিশাম। যা ৪২ বলে সাজানো দুটি ছক্কা ও ৯টি চারে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই নড়বড়ে রংপুর। ২৪ ঘণ্টা আগে বরিশালের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নেওয়া রংপুর উইকেট হারায় দ্বিতীয় ওভারেই। কুমিল্লার বোলার তানবির ইসলামের বলে ফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং (৪)।
পরের ওভারেই ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। ফোর্ডের এলবির শিকার হয়ে ১৪ রানে তিনিও ফেরেন ড্রেসিংরুমে। চারে নেমে শেখ মেহেদিও পারেননি থিতু হতে পারেননি। তবে, কিছুটা লড়াই করেন ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান। ২৪ রানে সাকিবের সেই লড়াই থামিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন মুশফিক হাসান।
এরপর শুধু হতাশাই দেখেছে রংপুর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে রংপুর। কুমিল্লা করেছে উইকেট উৎসব। সতীর্তদের আসা-যাওয়ার মিছিলে নিশাম একাই লড়াই করেছেন। তার ব্যাটে চড়েই মান বাঁচানোর মতো পুঁজি পায় রংপুর।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাথু ফোর্ড, মুশফিক হাসান ও আন্দ্রে রাসেল। তানবিরের শিকার একটি।