খেলার মাঠ রক্ষায় আদালতের শরণাপন্ন এলাকাবাসী
দিনাজপুর শহরের একটি খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন এলাকাবাসী। শহরের চাতরাপাড়া এলাকায় এই মাঠটি অবস্থিত। সেখানকার বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, স্বাধীনতার পর থেকে ফাঁকা পড়ে থাকা এই মাঠটা খেলার মাঠ হিসেবেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আশেপাশে আর কোনো মাঠ না থাকায় এখানকার শিশু-কিশোর-যুবারা এই মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার চর্চা করে থাকে। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ এই মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে এলাকাবাসী।
এখানকার বাসিন্দারা জানায়, জায়গাটা মূলত সরকারি খাস জমি। পাশেই হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান। অন্যপ্রান্তে পূনর্ভবা নদী। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এই জায়গাটা দখলের পায়তারা করে আসছিলো। কিন্তু শিশু-কিশোরদের মানববন্ধন এবং তাদের প্রতিবাদের জন্য সুবিধা করতে পারেনি। অবশেষে তারা কোমলমতি শিশুদের কোনো অনুরোধ তোয়াক্কা না করে পাকা ভবন তৈরির সবধরনের আয়োজন করেছে। পুরো মাঠ ঘিরে দিয়েছে। যেন কেউ প্রবেশ না করতে পারে। গোটা মাঠে বাঁশের খুঁটি পুঁতেছে। মাঠের মাঝখানে বড় বড় গর্ত খনন করে একেবারে খেলার অনুপযোগী করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কোনো উপায় না পেয়ে শিশু কিশোরদের কথা চিন্তা করে এলাকাবাসী দারস্থ হয় আদালতের। দিনাজপুর যুগ্ম জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার মোকাদ্দমা নং ৮৯/ ২০২৩ অনা।
কিন্তু বিবাদী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত খেলার মাঠটি বাঁচানো যাবে কি না সেটা নিয়ে সন্দিহান এলাকাবাসী। এই মাঠটা রক্ষা করতে না পারলে বিশাল হুমকির মুখে পড়বে এখানকার কয়েকটি এলাকার যুব সমাজ বলে শঙ্কিত এখানকার মানুষ। কারণ এই মাঠ ছাড়া আশেপাশে আর কোনো খোলা জায়গা বা খেলার মাঠ নেই। উঠতি বয়সীরা খেলার জায়গা না পেয়ে অবসর সময়টায় তারা জড়াতে পারে অসামাজিক কর্মকান্ডে। জড়িয়ে পড়তে পারে নেশার সাথে। দিনাজপুর শহর ভারতীয় সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে মাদক দ্রব্য সহজলভ্য। তাই এলাকাবাসীর শঙ্কা খেলার মাঠের অভাবে এখানকার উঠতি বয়সীরা পড়বে হুমকির মুখে। এই মাঠ রক্ষা করে যুব সমাজকে ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর।