মাঝপথে আইপিএল ছাড়লে ক্রিকেটারদের যে শাস্তির পরামর্শ গাভাস্কারের
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে আইপিএলে খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে একাধিক দেশের তারকা ক্রিকেটাররা। এ তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ড। দেশটির বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের ৮ জনই খেলছেন চলতি আইপিএলে। বোর্ডের ডাকে দ্রুতই তাদের ফিরতে হবে দেশে। মাঝপথে তাদের এমন বিদায় মানতে পারছেন না সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার।
সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। দলটিকে প্লে-অফে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ফিল সল্ট, আন্দ্রে রাসেলদের মতো বিদেশিদের। সল্ট যেমন শুরুটা ভাল করেছেন, তেমনই ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছেন রাসেল। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাদেরও আইপিএল ছেড়ে চলে যেতে হবে। প্লে-অফের আগে তারকা এসব ক্রিকেটারদের বিদায়ে ক্ষুব্ধ গাভাস্কার।
সম্প্রতি একটি কলামে গাভাস্কার লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ইসিবি ছাড়া অন্য কোনো বোর্ডের কথা শুনিনি, যারা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও বিশ্রামের জন্য খেলোয়াড়দের ডেকে নিতে বলছে। নিলাম হওয়ার আগেই বিসিসিআই সব বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের পুরো মৌসুম পাওয়া নিয়ে কথা বলেছে। কারণ, আইপিএলের কদিন পরই বিশ্বকাপ শুরু হবে, এটা জানা ছিল। বোর্ডগুলোর নিশ্চয়তার পরই বিসিসিআই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে খেলোয়াড়েরা কত দিন থাকবে, জানিয়েছে।’
গাভাস্কার আরও বলেন ‘খেলোয়াড়কে যে টাকা দেওয়া হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেটা থেকে কাটলেই হবে না, বোর্ডকেও খেলোয়াড় বাবদ পাওনা টাকা দেওয়া যাবে না। বোর্ড প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ১০ শতাংশ করে কমিশন পেয়ে থাকে। বোর্ড পুরো মৌসুম খেলার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকলে তাদেরও জরিমানা করা দরকার।’
অন্য কোনো টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড়ের বোর্ডকে টাকা দেওয়া হয় না জানিয়ে গাভাস্কার বলেন, ‘এই ১০ শতাংশ টাকা শুধু আইপিএলই দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, ইসিবির দ্য হান্ড্রেড, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা অন্য কোনো টি–টোয়েন্টি লিগই তো দেয় না। এই উদারতার জন্য বিসিসিআই কি কোনো ধন্যবাদ পায়? তা তো নয়।’