সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ইংল্যান্ডের তারকা পেসার
২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ক্রিকেট ম্যাচে মোট ৩০৩টি বাজি ধরেছিলেন। এইসব ম্যাচে অবশ্য তিনি খেলেননি। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ক্রিকেটের দুর্নীতিবিরোধী নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ক্রিকেট রেগুলেটর। বলছি ইংল্যান্ডের তারকা পেসার ব্রাইডন কার্সের কথা। বেটিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে সবধরনের ক্রিকেট থেকে তাকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
আজ শনিবার (১ জুন) জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, তিন মাসের সঙ্গে আরও ১৩ মাসের স্থগিতাদেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কার্সকে। কার্সের শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৮ আগস্ট। এই সংস্থাটি ইসিবির অধীনে স্বাধীন একটি সংস্থা যাদের কাজ হচ্ছে ক্রিকেটের নিয়মনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করা। ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্স।
২৮ বছর বয়সী কার্সকে নিয়ে তদন্তও করেছে ‘ক্রিকেট রেগুলেটর’। তাদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কার্স। এক বিবৃতিতে ক্রিকেট রেগুলেটর’ জানিয়েছে, ‘তদন্তের কাজে কার্স আমাদের সহযোগিতা করেছেন এবং কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করেছেন। বিষয়টি আমরা বিবেচনা করেছি। এদিকে কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে কার্স বলেন, ‘বাজিগুলো কয়েক বছর আগে ধরলেও এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। আমি আমার কার্যকলাপের সব দায় নিচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমাকে সমর্থন দেওয়ায় আমি ইসিবি, ডারহাম এবং প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আগামী ১২ সপ্তাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব এবং এটা নিশ্চিত করছি, আপনারা আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা আবারও খেলতে নেমে শোধ করব।'