জাদুকরী হাতে মেসির হতাশা মুছে দিলেন এমি
লিওনেল মেসি খেলবেন কিনা ম্যাচের আগে সেটা নিয়েই ছিল হাজারও প্রশ্ন! হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে পা রাখা হাজারো ভক্তদের চোখও হয়ত খুঁজছিল রেকর্ড ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকাকে। সবার অপেক্ষা মাড়িয়ে অবশেষে চোট কাটিয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে শুরুর একাদশেই ফিরলেন মেসি। কিন্তু ফেরার ম্যাচটা এত হতাশার হবে হয়তো নিজেও হয়ত আঁচ করতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
মেসির হতাশার দিনটা অবশ্য স্থায়ী হতে দেননি এমি মার্টিনেজ। সত্যিকার অর্থে বাজপাখি হয়ে আবারও ধরা দেন এমি। তার জাদুকরি হাতের ছোঁয়ায় মুছে দিলেন লিওনেল মেসির সব হতাশা।
কোপা আমেরিকায় ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিশ্চিত ফেভারিট থাকলেও নিজেদের ছন্দটা দেখাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। শুরু থেকেই উল্টো চাপে রাখে ইকুয়েডর। এর মাঝে প্রথম আক্রমণেই আর্জেন্টাইন শিবিরে ভীতি ছড়ায় তারা। তবে সেই যাত্রাও ত্রাতা হয়ে দলকে বাঁচায় এমির দুই হাত।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে লেসান্দ্রো মার্টিনেজের কল্যানে লিড পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসির কর্নার কাছের পোস্ট থেকে ফ্লিক করে দূরের পোস্টে পাঠান ম্যাক অ্যালিস্টার। সতীর্থ থেকে পাওয়া বলে মাথা ছুঁইয়ে দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান লিসান্দ্রো মার্টিনেজ।
সেই ব্যবধান ধরে রেখেই এগোয় আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ দিকে যোগ করা সময়ে আর্জেন্টিনাকে স্তব্ধ করে গোল আদায় করে নেয় ইকুয়েডর।
পুরো ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি মেসিকে। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ পান। সেটিও কাজে লাগেনি। আগেরি জানা, নক আউটে থাকছে না অতিরিক্ত সময়। সেই অনুসারে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-১ গোলের লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে।
সেখানেও শুরুতেই হতাশায় ডুবলেন মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে টাইব্রেকারে প্রথম শটই মিস করে বসেন অধিনায়ক। বল মেরে বসেন ক্রসবারে।
শুরুতে গোল খেয়েও নিজেকে চাপে ফেলেননি এমি মার্টনেজ। ঠিকই ইকুয়েডরের হয়ে নেওয়া অ্যাঞ্জেল মেনার প্রথম শটটি ঠেকিয়ে দেন। এরপর অ্যালান মিন্দার দ্বিতীয় শটটিও ঠেকিয়ে দেন এমি। গোলবারে আবারও তিনি হয়ে ওঠেন ‘অতিমানব’!
একদিকে এমি ঠেকিয়ে দেন অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বাকিরা করেন সফল স্পট কিক। জুলিয়ান আলভারেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার এবং দ্বিতীয়ার্ধের দুই বদলি গনসালো মন্তিয়েল ও নিকোলাস ওতামেন্দি মিলে করেন লক্ষ্যভেদ। তাতে মেসির হতাশা মুছে কোয়ার্টার ফাইনাল পরীক্ষায় উতরে যায় আর্জেন্টিনা। পেয়ে যায় কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালের টিকিট।