বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপনের অধ্যায় এখন অতীত। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে নতুন সভাপতি পেল দেশের ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।
আজ বিসিবির বোর্ড মিটিংয়ে প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন নাজমুল হাসান। এরপর নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হয়।
২০১২ সাল থেকে বিসিবি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পাপন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ভেঙে দেওয়া হয় জাতীয় সংসদ। রাজনৈতিক থেকে শুরু করে সর্ব মহলে পড়ে পদত্যাগের হিড়িক। সেই তালিকায় নাম লেখান নাজমুল হাসানও। শুরুতে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা না দিলেও প্রথমে বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তিনি রাজি হয়েছেন সভাপতির পদ ছাড়তে। এরপরই আজ এলো আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা।
পাপনের পর সভাপতি হওয়ার দৌড়ে অনেকের নাম থাকলেও এগিয়ে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। বিসিবি প্রধান হওয়ার ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে তার কোনো সমস্যা নেই। এনটিভি অনলাইনকে গত রোববার ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ’আমার সঙ্গে উনি (ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ) কথা বলেছেন। আমার কাছে প্রাথমিকভাবে জানতে চেয়েছেন আমি বিসিবি প্রধান হতে রাজি কি না? আমি আমার পক্ষ থেকে জানিয়েছি, কোনো সমস্যা নেই। পলিসিগত দিক থেকেও সব ঠিক আছে। এখন তারা চিন্তা করবেন, কীভাবে আগানো যায়। এরপর বোঝা যাবে যে কাকে বানানো হয়। আমার দিক থেকে আমি সম্মতি দিয়েছি।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এর আগেও ছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট সংগঠক দুই মেয়াদে পালন করেছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব। প্রথম মেয়াদে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয়বার ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পালন করেন একই দায়িত্ব। দ্বিতীয় মেয়াদে অবশ্য তাকে নিয়ে হয়েছিল নানা আলোচনা-সমালোচনা। পরে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
ফারুক আহমেদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে আরও একাধিক নাম ছিল। শোনা যাচ্ছিল বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও বিসিবির কাউন্সিলর সৈয়দ আশরাফুল হক। পাশাপাশি সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলটের নামও শোনা যাচ্ছিল একাধিক মহলে। তাদের পেছনে ফেলে সুযোগ পেয়ে গেলেন ফারুক আহমেদ।
৫৮ বছর বয়সী ফারুক আহমেদ ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের। দীর্ঘ সময় খেলেছেন লিস্ট ’এ’ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। খেলা ছাড়ার পর নানা ভূমিকায় ক্রিকেটের সঙ্গে তার পথচলা অব্যাহত রয়েছে।