বিসিবিপ্রধান হতে ফারুককে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব
কে হচ্ছেন বিসিবির পরবর্তী প্রধান? টালমাটাল সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কে আছেন? প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছিল গত কয়েকদিন ধরে। তর্কসাপেক্ষে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় পদ, যার দায়িত্ব অনেক। গত ১২ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। সম্প্রতি পদত্যাগ করতে রাজি হন তিনি। এরপর শুরু হয় আলোচনা। কারণ, নিশ্চিতভাবেই আসতে চলেছে নতুন মুখ। সেই নতুন মুখ হতে পারেন ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে তিনিই এগিয়ে।
২০১২ সাল থেকে বিসিবি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাজমুল হাসান। লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা না দিলেও বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তিনি রাজি হয়েছেন সভাপতির পদ ছাড়তে। নতুন সভাপতি হওয়ার তালিকায় থাকা সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নিতে তার কোনো সমস্যা নেই। এনটিভি অনলাইনকে এ কথা বলেন তিনি।
এনটিভি অনলাইনকে আজ রোববার (১৮ আগস্ট) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমার সঙ্গে উনি (ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ) কথা বলেছেন। আমার কাছে প্রাথমিকভাবে জানতে চেয়েছেন আমি বিসিবি প্রধান হতে রাজি কি না? আমি আমার পক্ষ থেকে জানিয়েছি, কোনো সমস্যা নেই। পলিসিগত দিক থেকেও সব ঠিক আছে। এখন তারা চিন্তা করবেন, কীভাবে আগানো যায়। এরপর বোঝা যাবে যে কাকে বানানো হয়। আমার দিক থেকে আমি সম্মতি দিয়েছি।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এর আগেও ছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট সংগঠক দুই মেয়াদে পালন করেছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব। প্রথম মেয়াদে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয়বার ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পালন করেন একই দায়িত্ব। দ্বিতীয় মেয়াদে অবশ্য তাকে নিয়ে হয়েছিল নানা আলোচনা-সমালোচনা। পরে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
ফারুক আহমেদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে আরও একাধিক নাম ছিল। শোনা যাচ্ছিল বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও বিসিবির কাউন্সিলর সৈয়দ আশরাফুল হক। পাশাপাশি সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলটের নামও শোনা যাচ্ছিল একাধিক মহলে। তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে আছেন ফারুক আহমেদ।
৫৮ বছর বয়সী ফারুক আহমেদ ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের। দীর্ঘ সময় খেলেছেন লিস্ট ‘এ’ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। খেলা ছাড়ার পর নানা ভূমিকায় ক্রিকেটের সঙ্গে তার পথচলা অব্যাহত রয়েছে।