বন্যার্তদের জন্য কাঁদছে মুশফিক-তাসকিনদের মন
ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের অন্তত দশটি জেলা। এরই মধ্যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সারাদেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মতোই মন কাঁদছে ক্রিকেটারদের। বন্যার্তদের সহায়তায় দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ফেনী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে আপাতত দেশের বাইরে মুশফিক-মিরাজরা। এমন দুঃসময়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মুশফিক লেখেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় আমার দেশের মানুষের কষ্ট দেখে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এবং সবাইকে অনুরোধ করছি সাহায্য করতে, যাতে বিপর্যস্ত মানুষদের সহায়তা করতে পারি। আমাদের নিজেদের মানুষের পাশে দাঁড়ানো খুব জরুরি।’
আরেক ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ লেখেন, ‘দূর পাকিস্তানে বসেও ফেনীর বানভাসি মানুষের আর্তনাদ আমাকে ব্যথিত করছে। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি তাদের পাশে থাকার। এই মুহুর্তে আমাদের একটা স্বেচ্ছাসেবী টিম ফেনীতে অবস্থান করছে। পানিবন্দী শত শত পরিবারকে উদ্ধার করতে তাদের প্রয়োজন স্পিডবোট,ট্রলার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা। আপনাদের কাছে অনুরোধ অন্তত একটা বোট তাদের জন্য ম্যানেজ করে দেন,যার সম্পূর্ণ খরচ আমাদের টিম বহন করতে প্রস্তুত। দয়া করে ফেসবুকে ভেসে বেড়ানো নাম্বারগুলো কপি করে দিবেননা,সেগুলোর অধিকাংশই বুকড হয়ে গেছে। যদি ঢাকা,চট্টগ্রাম বা আশপাশের কোথাও থেকেও কেউ ব্যাবস্থা করে দিতে পারেন,তবে আমরা নিজ দায়িত্বে নিয়ে এসে আবার পৌঁছে দিবো।‘
স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে পানির সাথে তলিয়ে যাচ্ছে লাখো পরিবারের সকল সঞ্চয়, স্বপ্ন! আসুন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াই, সাহায্য করি ঘুরে দাঁড়াতে। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা। আল্লাহ আপনি সকল ক্ষতিগ্রস্তদের ধৈর্য ধারণ করা ও দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার তৌফিক দান করুন। আমাদের সকলকে বিপদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।’