হাসানের তোপে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
প্রায় ৪২ বছর আগে চেন্নাইয়ে টস জিতে সবশেষ কোনো দল বোলিং করেছিল। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে সেই দুঃসাহস দেখাল বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্তর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, সেটাই প্রমাণ করলেন পেসাররা। বিশেষ করে পেসার হাসান মাহমুদের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রোহিত-কোহলিদের মতো তারকা ব্যাটাররা। প্রথম সেশনেই প্রতিপক্ষের তিন উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তিনটিই নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ২৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮৮ রান তুলেছে ভারত। ক্রিজে আছেন দুই অপরাজিত ব্যাটার জয়স্বী জয়সওয়াল ও রিশাভ পন্থ। জয়স্বী ৩৭ রানে ও পন্থ ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে দিনের শুরুতেই একবার আম্পায়ার্স কলের বদৌলতে বেঁচে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না হাসান মাহমুদ। ষষ্ঠ ওভারের শুরুতেই আক্রমণে এসে ভারত অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন এই পেসার। ১৯ বল খেলে ১ চারের মারে ৬ রান করেছেন রোহিত।
রোহিতের বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরেন আরেক ব্যাটার শুভমান গিল। ওয়ান ডাউনে নামা এই ক্রিকেটারকে ফেরান হাসান মাহমুদ। হাসানের ইয়র্কার লেংথের বলটা লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাট চালিয়ে দিলেন গিলও। ব্যাটে লেগে বল যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। সাজঘরে ফেরার আগে ৮ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি গিল।
দুই উইকেট হারানোর পর দায়িত্ব নিতে পারেননি বিরাট কোহলিও। হাসানের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ হলো না। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। ৬ বলে ৬ রান করে ফিরেছেন এই ব্যাটার।
৩৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারালেও জয়স্বী জয়সওয়াল ও রিশাভ পন্থের ব্যাটে ফিফটি রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেয় ভারত। দলীয় ৮৫ রানের মাথায় তাসকিনের বলে ক্যাচ ছেড়ে দেন সাদমান ইসলাম। এরপর আর কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ।