টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ অধ্যায়ের সমাপ্তি
বিদায়ের ঘোষণা দেন আগেই। অপেক্ষা ছিল শেষ চিত্রনাট্যের। যেটার বাস্তবায়ন হলো হায়দরাবাদে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে শেষবার টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটে-বলে শেষটা রাঙাতে না পারলেও দেশের ক্রিকেটে এই ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটারের অবদান কম নয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল রিয়াদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার।
শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামার আগেই সতীর্থদের শুভকামনায় সিক্ত হন এই অলরাউন্ডার। গার্ড অব অনার দেওয়া ছাড়াও রিয়াদের হাতে স্মারক তুলে দেন সতীর্থরা। সেসময় উপস্থিত ছিলেন দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবাল।
২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যাত্রা শুরু হয় রিয়াদের। নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এরপর নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে মাহমুদউল্লাহর ১৭ বছরের যাত্রা শেষ হলো আজ।
অভিষেকের পর থেকে খেলা ১৪১ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেন ২ হাজার ৪৪৪ রান। বল হাতে নিয়েছেন ৪১ উইকেট। এছাড়া ফিল্ডার হিসেবে বিশ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫০টি ক্যাচ লুফে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ১৮০ টি-টোয়েন্টি, মাহমুদউল্লাহ মাঠে ছিলেন অধিকাংশ ম্যাচেই।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড মাহমুদউল্লাহর দখলে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তার অধিনায়কত্বে মোট ৪৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি জয়ও তার। অধিনায়ক হিসেবে ১৬টি ম্যাচ জিতেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও লাল-সবুজের নেতৃত্ব দেন তিনি।
ম্যাচ শুরুর আগে বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা মাহমুদউল্লাহ। এমন মুহুর্ত কি আবেগের? ‘এমন প্রশ্নে তার উত্তর, ‘হ্যাঁ, এটা অবশ্য আমার জন্য আবেগের মূহুর্ত। আমি অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। এখন মুভ অন করার সময় এবং তরুণদের জন্য আমার জায়গা ছেড়ে দেওয়ার সময়। ওয়ানডে সংস্করণেও বিবেচনার চেষ্টা করব।’