টানা দ্বিতীয় ফাইফারে উজ্জ্বল হাসান মাহমুদ
চেন্নাইয়ের পিচে পেসারদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা আছে। বাউন্স, গতি, লাইন—সবমিলিয়ে সেই সুযোগটা কাজে লাগান হাসান মাহমুদ। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমে আবারও পান ফাইফারের স্বাদ। সাদা পোশাকে এর আগে তিন টেস্টের দুটি খেলেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঐতিহাসিক সেই সিরিজের শেষ ম্যাচের শেষ ইনিংসে নিয়েছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। পাকিস্তান পর্ব শেষে ভারতে এসেও উজ্জ্বল হাসান। পাকিস্তানে ঠিক যেখান থেকে শেষ করেছেন, ভারতে শুরুটাও সেখান থেকে।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে পাঁচ উইকেট নেন হাসান। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারতের শেষ উইকেট তুলে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন হাসান। স্লিপে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে ভারতের শেষ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরান জাসপ্রীত বুমরাহকে।
এর আগে গতকাল টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা ছিল হাসানময়। ৩৪ রানে প্রথম তিন উইকেট হারায় ভারত। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শুভমান গিল—ব্যাটিংয়ের তিন বিভীষণকে সাজঘরে ফেরান হাসান একাই। প্রথমে রোহিতকে অধিনায়ক শান্তর ক্যাচ বানান হাসান। গিল ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে। বিরাট কোহলিও লিটনকেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের তিন স্তম্ভ গুঁড়িয়ে বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসান হাসান। এরপর অবশ্য ৬২ রানের জুটি গড়ে ঋষভ পন্ত ও যশস্বী জাইসওয়াল ভারতকে কিছুটা স্বস্তির জায়গায় নিয়ে যান। স্বস্তিতে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি ভারতীয়রা। আবারও হাসানের আঘাত। এবার শিকার পন্ত, উইকেটের পেছনে সেই লিটনের হাতে ধরা।
বল হাতে নিজের সাফল্যের রহস্য জানিয়ে হাসান বলেছিলেন, ‘আমার পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল। নতুন বলে নিজের শক্তির জায়গাটা ধরে রাখতে চেয়েছি। নিজের জায়গাটা বের করে নিয়েছিলাম। সেভাবে লাইন ঠিক রেখে ঠিক জায়গায় বল ফেলার চেষ্টা করেছি। যতটা সম্ভব গতি রাখতে চেয়েছি। ভালো লাগছে পরিকল্পনামাফিক বল করতে পেরে। দিন শেষে আমি সফল হয়েছি।’
কাল দিনের শেষের মতো আজ শুরুতেও সফল হাসান। পেস আক্রমণে হয়ে উঠেছেন দলের অন্যতম নায়ক।