চেন্নাই টেস্ট
সাকিব-লিটনের বিদায়ে ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ
স্কোরবোর্ডে ৪০ রান জমা করতেই নেই বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট। মনে করিয়ে দিচ্ছিল, আসা-যাওয়ার পুরোনো মিছিলের কথা। তারচেয়ে বড়, চোখ রাঙাচ্ছিল বিপদ। বিপদ এখনও কাটেনি, তবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ। দুই ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস মিলে একটু একটু করে হাল ধরছিলেন মিডল অর্ডারে। কিন্তু দুজনকেই বিদায় করেছে ভারত। দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কায় বাংলাদেশ।
ভারতীয় বোলারদের বেশ সাবধানে মোকাবিলা করেছিলেন দুজন। অহেতুক শট খেলার বদলে ভালো বলগুলোতে শট নিয়েছেন, বিপজ্জনক ডেলিভারি সামলান সতর্কভাবে। এই জুটিতে আসে ৫১ রান। এরপরই ভুল করে বসেন লিটন। রবীন্দ্র জাদেজার বলে লং অনে উড়িয়ে মারেন। বাউন্ডারি লাইনে বদলি ফিল্ডার ধ্রুব জুরেল সহজেই লুফে নেন লিটনের ক্যাচ। দলীয় ৯১ রানে পতন হয় বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
লিটনের পর সাকিবও পরিণত হন জাদেজার শিকারে। ৩২ রান করে ঋষভ পন্তের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ৯২ রানে সাত উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ।
শান্ত-মুশফিকের বিদায়ে বিপদ বাড়ল বাংলাদেশের
প্রথম সেশনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ব্যাটাররা। তিন উইকেটের সবগুলোই হয় বোল্ড। স্কোরবোর্ডে ২৬ রানে তিন উইকেট নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে আবারও হারাল উইকেট। এবার সাজঘরে ফিরলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
দলীয় ৩৬ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের বলে দ্বিতীয় স্লিপে বিরাট কোহলির ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ফেরার আগে ২০ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে। তার বিদায়ে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। সেই বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন মুশফিকুর রহিম। জাসপ্রীত বুমরাহর বলে স্লিপে লোকেশ রাহুলের তালুবন্দি হন মুশফিক। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন আট রান। ৪০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
বোলাররা তাদের কাজ করেছেন ঠিকঠাক। আগের দিন প্রতিরোধ গড়া ভারতকে আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালেই থামিয়ে দেন পেসাররা। তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে আজ মাত্র ৩৭ রান তুলতেই শেষ চার উইকেট হারায় ভারত। চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত অলআউট হয় ৩৭৬ রানে। জবাবে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ ওভারে ২৬ রানে তিন উইকেট।
বোলারদের সফলতা ধরে রাখতে পারেননি ব্যাটাররা। ভারতীয় পেসারদের সামনে দিশেহারা বাংলাদেশি টপ অর্ডার। স্কোরবোর্ডে ২২ রান তুলতেই নেই তিন উইকেট। আসা যাওয়ার মিছিলে শামিল দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান, গোল্ডেন ডাকে ফিরে গেছেন অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও।
জাসপ্রীত বুমরাহর করা প্রথম ওভারের শেষ বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাত্র দুই রান করে বোল্ড হন সাদমান। এরপর বেশ খানিকটা সতর্ক হয়েই খেলছিল বাংলাদেশ। বেশিক্ষণ সেটি ধরে রাখতে পারেননি ব্যাটাররা। নবম ওভারে আকাশ দ্বীপের টানা দুই বলে সাজঘরে ফেরেন জাকির ও মুমিনুল। জাকির তিন রান করেন, মুমিনুল খুলতেই পারেননি রানের খাতা। দুজনই হন বোল্ড আউট।