সাকিবের পর ব্যর্থ লিটন
লক্ষ্যটা ৫১৫ রানের। রান তাড়ায় নেমে চাপের কাছেই নুইয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে কিছুটা আশা জাগিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। প্রথম ঘণ্টায় উইকেট না হারানো বাংলাদেশ, হঠাৎ দুই উইকেট হারিয়ে হারের অপেক্ষায়। সাকিবের পর এবার ফিরলেন ব্যাটার লিটন দাসও। জাদেজার বলে মাত্র ১ রান করে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ ছিলেন এই ব্যাটার।
জীবন পেয়েও ফিরলেন সাকিব
চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় দেখেশুনে ব্যাটিং করেছেন সাকিব-শান্ত। তবে, পানি বিরতির পরই খেই হারালেন সাকিব। অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের খোঁচা দিয়ে দিতে যয়স্বী জয়সওয়ালের হাতে ধরা পড়েন। এর আগে জাদেজার ওভারে জীবনও পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে, ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ৫৬ বলে ২৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
পন্থের ভুলে জীবন পেলেন সাকিব
চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছে বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও নাজমুল শান্ত মিলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তবে, ৪৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে জাদেজারা করা ডেলিভারিতে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে শট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে, ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। বল চলে চায় উইকেটরক্ষক রিশাভ পন্থের হাতে। তবে, তালুবন্দী করতে পারেননি এই ক্রিকেটার। সেই সুযোগে দ্রুতই ক্রিজে ঢুকে পড়েন সাকিব।
পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু বাংলাদেশের
রীতিমত অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে বাংলাদেশকে। চেন্নাই টেস্টে এখনও বাকি দুদিন। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৫৭ রান। আর স্বাগতিক ভারতের প্রয়োজন ৬ উইকেট। টেস্টে ক্রিকেটে আগে যা করতে পারেনি কোনো দল, এবার সেটাই করে দেখানোর সুযোগ শান্তদের সামনে। তৃতীয় দিনের ব্যর্থতা ভুলে চতুর্থ দিনে নতুন শুরুর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছেন দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসান।
আলোর স্বল্পতায় আগেভাগে শেষ তৃতীয় দিনের খেলা
সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫১৫ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য ছুঁড়ে বাংলাদেশের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে ভারত। তৃতীয় দিন সফরকারী দল দারুণ সূচনা করলেও শেষ পর্যন্ত সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি জাকির, সাদমান, মুমিনুল ও মুশফিক। তাদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ এখন কতদূর যেতে পারে সেটাই এখন দেখার। চেন্নাইয়ে আলোর স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে আগেভাগে। দিন শেষে সফরকারীদের স্কোর ৩৭.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৫৭ রান। ভারতের জিততে দরকার আর ৬ উইকেট।