বেতন কমছে সাকিব আল হাসানের
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রকাশিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন ফরম্যাটেই ছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে, আট মাসের ব্যবধানে বদলে গেল সব। অনেকটা হুট করেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যা প্রভাব ফেলেছে তার আয়েও।
ক্রিকেটারদের পাঁচ ক্যাটাগরিতে (এ+, এ, বি, সি আর ডি) ভাগ করে চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছিল বিসিবি। যেখানে টেস্টে এ+ গ্রেডের বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডেতে ৪ লাখ আর টি-টোয়েন্টিতে সংখ্যাটা সাড়ে ৩ লাখ। একইভাবে এ ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণ সাড়ে ৩ লাখ, ৩ লাখ আর ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ভেদে টাকার পরিমাণ ভিন্ন বি, সি আর ডি ক্যাটাগরিতেও।
আর তিন ফরম্যাটেই এ+ ক্যাটাগরিতে মোটে আছেন দুই জন। সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন ফরম্যাটেই চুক্তিতে থাকা বাকি তিন ক্রিকেটার লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলাম আছেন ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে।
কোনো ক্রিকেটারের নাম যদি তিন সংস্করণে থাকে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন। এই হিসেবে সাকিব প্রতি মাসে বেতন পেতেন ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা। এই ভাতাসহ প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি পেতেন সাকিব।
বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুসারে, যেহেতু টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন, তাই চুক্তি থেকে কাটা যাচ্ছে সাকিবের নাম। যার ফলে এখন শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডের জন্য সাকিব মাসে পাবেন ৪ লাখ টাকা করে।