চুমুকাণ্ডের শিকার হওয়া সেই হারমোসোর হাতে মানবিকতার পুরস্কার
এবারের ব্যালন ডি’অর শুরু হয়েছিল বিতর্কের আবহ নিয়ে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে তা বয়কট করে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে অন্যায়ভাবে ব্যালন ডি’অর থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এমন ভাবনা ও ভিনির প্রতি সমর্থন থেকে পুরো রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ শেষ বেলায় বয়কট করেছে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানকে।
সব বিতর্ক একপাশে রেখে আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর নিজের করে নেন স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি। নারীদের মধ্যে টানা দ্বিতীয়বার ব্যালন ডি’অর জেতেন স্পেনেরই নারী ফুটবলার আইতানা বনমাতি। তবে, অবাক করা ব্যাপার হলো, সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন স্প্যানিশ নারী ফুটবলার জেনিফার হারমোসো। গত ফিফা নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের পর যিনি ভাইরাল হয়েছিলেন চুমুকাণ্ডে।
সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ডটি মূলত ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড। মানবিক আচরণের জন্য ফ্রান্স ফুটবল প্রতিবছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। যাকে দেওয়া হয়, সেই ফুটবলারকে ভাবা হয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকাদের একজন। কিন্তু, সেই চুমুকাণ্ডের পর হারমোসোর কারণে চাকরি হারাতে হয় স্পেন ফুটবলের তৎকালীন প্রধান লুইস রুবিয়ালসকে। এমনকি তিন বছরের নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয় তাকে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট। প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল স্পেন। আনন্দে আত্মহারা হয় সবাই। এই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও। সেখানে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালস যেন ছাড়িয়ে যান সবকিছুকে। চ্যাম্পিয়নের মেডেল নিতে যখন একে একে মঞ্চে আসছিলেন স্প্যানিশ নারীরা, তখন ফুটবলার জেনিফার হারমোসোকে জাপটে ধরে চুমু খান তিনি। এতে বিপাকে পড়েন স্পেন ফুটবলের প্রধান।
যে ঘটনার জেরে একপ্রকার শেষ হয়ে যায় রুবিয়ালসের ক্যারিয়ার। ক্ষমা চেয়েও কোনো লাভ হয়নি। তার এক বছর পর, যাকে চুমু খাওয়া নিয়ে জল ঘোলা হয়েছিল, সেই হারমোসো পেলেন ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড।