ভিনিকে ব্যালন ডি’অর না দেওয়া অন্যায় ছিল : ব্রাজিল কোচ
ক্যারিয়ারে প্রথম ব্যালন ডি’অর জিতে আনন্দে ভাসছেন রদ্রিগো হার্নান্দেজ। কিন্তু কোনো আলোচনাতে নেই তার উচ্ছ্বাসের কথা। বরং আলোচনায় আছেন ব্যালন ডি’অর-এর দৌড়ে থাকা রদ্রির প্রতিদ্বন্দ্বী ভিনিসিয়াস জুনিয়র। না জিতেও ফুটবল ভক্তদের আলোচনার কেন্দ্রে ভিনি! ফুটবল ভক্তরা ভেবেছিল ভিনির হাতেই উঠবে এবারের ব্যালন ডি’অর। সেটি না হওয়ায় ব্রাজিল-রিয়াল মাদ্রিদের ভক্তরা হতাশ।
গত কদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে ফুটবল দুনিয়ায়। এবার মুখ খুললেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। তার মতে, ভিনিকে ব্যালন ডি’অর না দেওয়াটা ছিল অন্যায়। তবে, ব্যালন ডি’অর জেতা রদ্রিকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি দরিভাল জুনিয়র।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভিনিকে রেখেছেন ব্রাজিল কোচ। দল ঘোষণার দিনই প্রশ্ন আসে ভিনির ব্যালন ডি’অর না জেতার ইস্যু নিয়ে। তখন দরিভাল বলেছেন, ‘ আমার মতে এটা অন্যায়। খুবই অন্যায্য একটা পরিস্থিতি, বিশেষ করে এটা যখন একটা ব্যক্তিগত পুরস্কার। যে পুরস্কার জিতেছে, তার বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই। বরং উল্টোটা, স্প্যানিশ ফুটবলের দারুণ একজন ফুটবলারের স্বীকৃতি এটি। তবে ভিনিসিয়াস যা করেছে, তার প্রাপ্য ছিল অন্যরকম স্বীকৃতি।’
ব্যালন ডি’অর না জিতেও মানুষের সম্মান আর ভালোবাসা ভিনি জিতেছেন বলে উল্লেখ করেন দরিভাল। তিনি বলেন, ‘ভিনিসিয়াস সবচেয়ে বড় যে পুরস্কার জিতেছে, তা হলো মানুষের স্বীকৃতি ও সম্মান। ব্রাজিলের বেশির ভাগ মানুষ বুঝতে পেরেছে, পুরস্কারটি যার প্রাপ্য ছিল, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’
ভিনিসিয়াসকে অন্যায়ভাবে ব্যালন ডি’অর থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এমন ভাবনা ও ভিনির প্রতি সমর্থন থেকে গত ২৯ অক্টোবর পুরো রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ শেষ বেলায় বয়কট করেছে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানকে। মাদ্রিদ থেকে প্যারিসের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল প্রায় ৫০ জনের। কিন্তু, ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ থেকে শুরু করে কোচ আনচেলত্তি, তার শিষ্যরা কেউই যাননি প্যারিসে। ব্যালন ডি’অরের রাত আর সেখানে নেই বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত ফুটবল ক্লাবের কোনো প্রতিনিধি! রদ্রির প্রথম ব্যালন ডি’অর জয়ের চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল এটিই। কারণ, এর আগে এমন সাহস দেখানোর দুঃসাহসও তো হয়ে ওঠেনি কারও। কিন্তু ভিনির প্রতি সম্মান দেখি সেটা করে দেখিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।