বার্সার সঙ্গে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছা ড. ইউনূসকে জানালেন কৃষ্ণা
এশিয়ার বাইরে ফুটবল ম্যাচ খেলতে চাওয়ার আগ্রহ বাংলাদেশের মেয়েদের বহুদিনের। তবে, সেটা আলোর মুখ দেখেনি কখনও। এবার এই ইচ্ছার কথা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানালেন সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। বিশেষ করে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাওয়ার আগ্রহের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দল। গত ৩০ অক্টোবর রাতে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জেতায় নারী দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এসময় নারী ফুটবলাররা তাদের স্বপ্ন এবং তাদের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। সেই সঙ্গে নিজেদের বেতন কাঠামো-আবাসন সমস্যাসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন তারা। জানান, এশিয়ার বাইরে খেলতে চাওয়ার আগ্রহের কথাও।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকায় তাদের আবাসন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি এই উইঙ্গার প্রধান উপদেষ্টাকে এশিয়ার বাইরে তাদের জন্য একটি প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। বাকিরাও নিজেদের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বিজয়ী খেলোয়াড়দের দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এই সাফল্য অর্জনের জন্য আমি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে তোমাদের অভিনন্দন জানাই। জাতি তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়। তোমরা আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছো।'
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাদের ব্যক্তিগত আশা এবং আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবিগুলো আলাদা কাগজে লিখে সেগুলো তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিতে বলেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'তোমরা যা খুশি লিখতে পারো, কোনো দ্বিধা করবে না। আমরা তোমাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করব। এখন যদি কিছু সুরাহা করা যায় তবে আমরা এখনই সেটা করব।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী দলের বিদায়ী কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।