ফরিদপুরের ক্রিকেট ইতিহাস ফিরিয়ে এনেছে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
একটা সময় বৃহত্তর ফরিদপুর ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট চর্চার অন্যতম অঞ্চল। আলিউল ইসলাম, রকিবুল হাসানের মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছেন ফরিদপুর থেকে। জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জয়ের অতীতও আছে ফরিদপুরের। ১৯৭৮ সালে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসে। সেই সময় ফরিদপুরে দুই দিনের একটি ম্যাচও আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফরিদপুর জেলা স্টেডিয়ামের নাম।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে শ্রীলঙ্কা ছাড়াও ফরিদপুরে খেলেছে এমসিসি ক্রিকেট দল। তবে, ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিভাগ বনাম রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার তিনদিনের ম্যাচের পর গত ২৫ বছর এই ভেন্যুতে হয়নি কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। দীর্ঘ সময় পর আবারও ক্রিকেট ফিরেছে ফরিদপুরে।
গত ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ফিরিয়ে এনেছে ফরিদপুরের সমৃদ্ধ ক্রিকেট ইতিহাস ও দর্শকের উন্মাদনা। ভবিষ্যতে ফরিদপুরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজকরা। ফরিদপুরে একটি মানসম্পন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তারা জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফরিদপুর অঞ্চলের খেলা উদ্বোধন করতে এসে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক এবং জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক জানান সেই পরিকল্পনার কথা।
আমিনুল বলেন, ‘১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে এই স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর আর কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এখানে হয়নি। আমি এই মাঠে ফুটবল খেলেছি। ভবিষ্যতে আল্লাহ যদি চান, তাহলে ফরিদপুরে ক্রিকেটের জন্য আমরা একটি আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করব।’
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জোহারুল হক শাহজাদা মিয়া জিয়া স্মৃতি ক্রিকেটের ফরিদপুর অঞ্চলের খেলা উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সামা ওবায়েদ, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব সৈয়দ বোরহানুল হোসেন পাপ্পু, আয়োজক কমিটির সদস্য ও বিএনপির স্থানীয় নেতারা।