রূপগঞ্জ টাইগার্সকে উড়িয়ে মোহামেডানের জয়ের হাসি

তারকাবহুল দল নিয়েও লিগের শুরুটা হয়েছে হারের তিক্ততায়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে। তবে দ্বিতীয়টি সেই ভুল করেনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে খাতা খুলল তামিম ইকবালের দল।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অষ্টম ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে সাত উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই ম্যাচে অবশ্য জয়-পরাজয় ছাপিয়ে সবার নজরে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। গত রাতে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া মুশফিক আজ মোহামেডানের হয়ে মাঠে নেমেছেন।
মিরপুর শেরেবাংলায় তাই ম্যাচের শুরু থেকেও সব ক্যামেরার নজর মুশফিকের দিকে। দিনের শুরুটাও হয় মুশফিকময়। তামিম-তাওহিদরা সবাই মিলে ম্যাচের শুরুতে গার্ড অব অনার দেন বিদায়ী মুশফিককে। এরপর ফিল্ডিংয়ে নামা মোহামেডানের হয়ে পুরোটা সময় হাস্যজ্জ্বল ছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল।
এমন ম্যাচে অবশ্য আগে ব্যাট করে খারাপ কাটেনি রূপগঞ্জ টাইগার্সের। আগে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২২২ রান তোলে রূপগঞ্জ। তবে দলের হতে ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস আসেনি একটিও। সর্বোচ্চ ৫১ বলে ৪১ রান এসেছে আল আমিন জুনিয়রের ব্যাট থেকে। ৫৪ বলে ৩৭ রানে করেছেন তানভির হায়দার। জাতীয় দলের আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও পারেননি থিতু হতে। তার ব্যাট থেকেও আসে ৩৯ বলে ২৩ রানের মন্থর ইনিংস।
রূপগঞ্জের দেওয়া ২২৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। রান তাড়ায় শুরুতেই বিদায় নেন অধিনায়ক তামিম। ব্যক্তিগত ১৭ ফাহাদ হোসেনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। প্রথম জুটি মাত্র ২৭ রান টিকলেও দ্বিতীয় জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ করে মোহামেডান। রনি তালুকদারের সঙ্গে এই জুটিতে ভিত গড়ে দেন মাহিদুল অঙ্কন। ৩৬ রান করে অঙ্কন এনামুলের শিকার হওয়ার পরও টিকে ছিলেন অঙ্কন। ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর তাওহিদ-আরিফুলদের নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান অঙ্কন। দেশকে জেতানোর পথে ব্যাট হাতে ৯৭ বলে ৮১ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন তরুণ এ ব্যাটার। এ ছাড়া তাওহিদের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৬৪ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস।
সবাই অপেক্ষায় ছিল মোহামেডানের হয়ে মুশফিকের মাঠে নামার। তবে, অঙ্কন আর তাওহিদ মিলে খেলা শেষ করে আসায় আর ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি উইকেটকিপার এই ব্যাটারের।