ক্যারিবীয়দের ইতিবাচক শুরু থামিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
চার-ছক্কায় খুব দ্রুতই সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভরসা করার মতো সঙ্গী যে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগটাই নিলো ক্যারিবীয়রা। আলজেরি জোসেফের বলে পুল খেলে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়লেন জাকের। ১০৬ বলে ৮ চার আর ৫ ছক্কায় জাকেরের ৯১ রানের লড়াকু ইনিংসটির সমাপ্তি। তাতেই জ্যামাইকা টেস্টে জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২৮৭। জবাব দিতে নেমে ইতিবাচক শুরু করলেও মিকাইল লুইসকে ফিরিয়ে স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ।
লাঞ্চ বিরতির আগে ৪.২ ওভারে ২৩ রান করেছে স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ২৬৪ রান। এর আগে ৫৯.৫ ওভারে ২৬৮ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে পিছিয়ে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ২৮৭ রানের লক্ষ্য। ৫ উইকেটে ১৯১ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ এদিন শেষ ৫ উইকেটে যোগ করে ৭৭ রান। এতে সবচেয়ে বড় অবদান জাকেরের। শেষ চার ব্যাটসম্যানের মিলিত অবদান কেবল ৪ রান।
৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। জাকের আলি ২৯ আর তাইজুল ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। সকালে তাইজুলকে নিয়ে জাকের প্রথম আধ ঘণ্টা ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন। তবে এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাকের-তাইজুলের জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন আলজেরি জোসেফ। তাইজুলকে স্লিপে ক্যাচ বানান তিনি। ৫০ বল খেলে তাইজুল কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই করেন ১৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজেরি জোসেফ আর কেমার রোচ নেন তিনটি করে উইকেট।