‘বুড়ো’ মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে তারুণ্যের উদ্যম
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের কাজটা নীরবে করতে ভালোবাসেন। যতক্ষণ ক্রিজে থাকেন, ভরসার একটা জায়গা তৈরি হয়। বাংলাদেশে পঞ্চপাণ্ডব যুগ এখন অনেকটাই অতীত। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ টিকে আছেন। ৩৮ বছর বয়সে এসে নিজেকে যেন নতুন করে গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাইলেন্ট কিলার।
সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এর আগে দুটি সিরিজে বাংলাদেশ ছিল অপরাজেয়। কিন্তু, ভাটা পড়ল তাতে। তিন ম্যাচ সিরিজের সবকটিতে হার। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে হার ধরলে টানা চার ম্যাচে পরাজিত দলের নাম বাংলাদেশ। অথচ, লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের এটিই সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাট।
বাংলাদেশের ব্যর্থতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ বোধ করি ব্যাটিং। টপ অর্ডার ভালো করে কালেভদ্রে। ওপেনিংয়ে নেই শক্ত গাঁথুনি। মিডল অর্ডারকে তাই দায়িত্ব নিতে হয়। সেখানে বুড়ো মাহমুদউল্লাহ এগিয়ে আসেন সবার আগে। সর্বশেষ চার ম্যাচে বাংলাদেশ হারলেও মাহমুদউল্লাহ ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন। শেষ চার ম্যাচে তার রান ৯৮, ৫০*, ৬২, ৮৪*। চার ম্যাচে চার অর্ধশতক, দুটিতে অপরাজিত। আফগানদের বিপক্ষে দুই রানের জন্য মিস করেছেন শতক।
এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার ৬২ রানের ইনিংসটি বেশ মন্থর ছিল। ৯২ বলে খেলা ইনিংসে শুরুর ধীরগতি পুষিয়ে দেন শেষে। বাকি ম্যাচগুলোতে রান তুলেছেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ৯৮ বলে ৯৮, ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ ও ৬৩ বলে অপরাজিত ৮৪—পাওয়ার হিটিংয়ে দলকে দারুণ ফিনিশিং এনে দিয়েছেন তিনি। চার ম্যাচে মাহমুদউল্লার বাউন্ডারি মেরেছেন ১৯টি, ছক্কা মারেন ১৪টি।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই দলে নিজেকে অপরিহার্য করে গড়ে তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ। খেলছেন কেবল ওয়ানডেটাই। তাতে যে বেশ মনোযোগী হয়েছেন, তার উন্নতি দেখলে আঁচ করা যায়। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে নিজেকে নিয়ে কাজ করা মাহমুদউল্লাহকে দেখে তরুণরা উদ্যমী হতেই পারে।