রোনালদোর দেখানো পথে হাঁটছেন ভিনি?
ভিনিসিয়াস জুনিয়র খেলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাবেই। গায়ে চাপিয়েছেন তার বিখ্যাত সাত নম্বর জার্সি। তিনি কী করে হার মানবেন এত সহজে? হার মানেননি ভিনি। জেদ আর পরিশ্রমে দুনিয়াকে বাধ্য করেছেন তার হাতে শ্রেষ্ঠত্ব তুলে দিতে।
লিওনেল মেসিকে বারবার চোখের সামনে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার নিতে দেখেছিলেন রোনালদো। টানা চারবার ব্যালন ডি’অর হারানোর পর গোটা দুনিয়া ভেবেছিল, রোনালদো বুঝি আর কখনোই পাবে না। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন সিআরসেভেন। ঠিকই জিতে নেন সেরাদের সেরার সম্মান।
তোমাদের ভালোবাসা আমাকে শক্তি জোগায়, ঘৃণা করে অপ্রতিরোধ্য— রোনালদোর এই বেদবাক্য না মানলে চলে? ভিনি মেনেছেন। ঘৃণার জমিতে চাষ করেছেন সমীহ। ফিফা তাই তাকে ফেরাতে পারেনি। প্রথমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের তকমা এখন ভিনির গায়ে।
ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফরোয়ার্ড যদি একটু হিসেব করেন, তাহলে ব্যালন ডি’অর হারানো রদ্রির চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। কারণটা সহজ। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক ফিফা। তাই, ফিফার বর্ষসেরা হওয়া মানে তো সেরাদের সেরা হওয়া। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও বলেছেন, ভিনি ফিফা দ্য বেস্ট পেয়েছে। ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় খেতাব।
যাত্রাটা সহজ ছিল না ভিনিসিয়াসের। রোনালদো প্রবল পরিশ্রমী। তার মতো পরিশ্রম করার দুঃসাহসও দেখায় না কেউ। তবে, প্রতিবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে রোনালদো মাঠে নিজেকে উজাড় করে দিতেন। অবহেলার জবাব দিতেন মাঠে। স্পষ্টভাষী রোনালদোর মতোই ভিনি জানিয়েছিলেন, দরকার হলে আরও ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে ফিরব আমি। দেড় মাসের মাথায় কথা রেখেছেন।
‘তারা বারবার চেষ্টা করেছিল আমাকে ব্যর্থ করতে, ছোট করতে। কিন্তু, তারা এখনও তৈরি নয়। কেউ আমাকে বলেনি আমি কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, কীভাবে আমার আচরণ করা উচিত। সিস্টেম আমার পরোয়া করেনি, চেয়েছে বিষাদগ্রস্ত করে ফেলতে’–ভিনিসিয়াস ক্ষোভ ঝেড়েছেন প্রকাশ্যেই। রোনালদোও তো ঠিক এমনটিই করত। মাঠে নামতেন, একেকদিন তাকে নিয়ে করা একেকটি অবজ্ঞার জবাব দিতেন।