শিলংয়ে বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ মঙ্গলবার

আর ঘণ্টা কয়েকের অপেক্ষা। এরপরই এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ-ভারত। শিলংয়ের জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে খেলা শুরু মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। খেলাটি দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। ভারতের র্যাঙ্কিং ১২৬, বাংলাদেশ আছে ১৮৫তম স্থানে। হেড টু হেডেও ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে জামাল-তপুরা। দুই দলের ৩১ বারের সাক্ষাতে ১৬ ম্যাচেই জয়ী হয়েছে সুনীল ছেত্রীরা। বাংলাদেশের জয় মাত্র তিনটিতে। ড্র হয়েছে ১২টি।
সর্বশেষ ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভারতকে হারানেরা কীর্তি দেখাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। তাছাড়া শেষ পাঁচ লড়াইয়ে ভারতের জয় মাত্র এক ম্যাচে। বাকি চারটি ড্র হয়েছে। এবার সেই খরা কাটাতে মরিয়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। হামজার মতো বিশ্বমানের তারকা থাকায় চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের আভাস কাবরেরার।
ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এটা খুবই রোমাঞ্চকর ম্যাচ হবে। আমরা ভীষণ অনুপ্রাণিত। ইতোমধ্যে ২৪ দিন এই ম্যাচের জন্য কঠোর অনুশীলন এবং পরিশ্রম করেছি, যেটা লম্বা সময়। ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। আশা করি, ভারতের জন্য সবকিছু কঠিন করে তুলতে পারবো আমরা।’’
ভারতের বিপক্ষে বরাবরই লড়াই করেছে বাংলাদেশ। ইতিহাসে এগিয়ে থাকলেও এবার কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাবে বাংলাদেশ, তা ভালোই জানা ভারতের। তাই হামজাকে ঘিরেই পরিকল্পনা সাজিয়েছে স্বাগতিকরা, এমনটাই জানিয়েছেন অধিনায়ক সন্দেশ জিনগান।
“যখনই আমারা বাংলাদেশের মুখোমুখি হই, আমরা জানি, এটা এমন একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে যেখানে অনেক আবেগ এবং হাই ইনটেনসিটি থাকবে। তারা আমাদের প্রতিবেশী, তাই আপনি এইটা প্রত্যাশা করতেই পারেন, কিন্তু অধিকাংশ সময় আমরাই তাদেরকে বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছি। তাদের দলে হামজার মতো ভালো মানের ফুটবলার আছে। তাকে নিয়েই পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।’’