ঈদে ঘোরাঘুরি
উতমাছড়ায় উতলা মন
উজ্জ্বল নীল আকাশ আর তার শরীরে সাদা মেঘ নানা ভঙ্গিমায় নৃত্যরত। পাহাড়ে এসে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছে মেঘ। দিগন্তরেখায় মেঘ আর পাহাড়ের পারস্পরিক ভালোবাসা দেখে চোখ জুড়ে যাবে। তো, আর দেরি কেন, এই ঈদের বন্ধে বেরিয়ে পড়ুন প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখতে। বলছিলাম সিলেটের উতমাছড়ার কথা।
যা দেখবেন
প্রবাহিত ধলাই নদী। সামনে মেঘালয় পর্বতমালা। কোল ছুঁয়ে বয়ে চলেছে ধলাই নদী। সে এক দৃশ্য বটে! এককথায় অসাধারণ। এমন দৃশ্যে চোখ-মন দুটিই ভরে ওঠে। নদীর বাঁ পাশে পানি আর ডান পাশে বিশাল বালিয়াড়ি। পুরো পরিবেশ অপরূপ। সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের আস্তরণ। পাহাড়ের বুক চিড়ে চলেছে শীতল স্বচ্ছ জলরাশি, আছে পাথর ছড়ানো সর্বত্র। আকাশে নীলিমার ছোঁয়া, আবার কখন কালো মেঘের মায়া এই সব সঙ্গী করে আপনি উপভোগ করবেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের। রূপ-লাবণ্যে যৌবনা উতমাছড়া পরতে পরতে সাজিয়ে রেখেছে সম্মোহনী সৌন্দর্য। যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্ত নির্জন অরণ্যের সাহচার্য পেতে উতমাছড়ার বিকল্প নেই।
আছে সবুজের সমারোহ, দিগন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের খেলা, পাথর ছড়ানো চারপাশ, দুধসাদা জলরাশি, পাখিদের কলতান। মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই! উতমাছড়ার সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি ধরা দেয় বর্ষাকালে। অন্যান্য মৌসুমে উতমাছড়াকে মরুভূমির বুকে গজিয়ে ওঠা উদ্যানের মতো মনে হয়।
যাওয়ার পথ
ঢাকার থেকে বাস/ট্রেনযোগে সিলেট ভাড়া জনপ্রতি ২৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সরাসরি সিএনজি অটোরিকশাযোগে যেতে হবে ৩৫ কিলোমিটার দূরবর্তী দয়ারবাজারে।
সড়কের অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় এ পরিমাণ সড়ক পাড়ি দিতে গুনতে হবে জনপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা করে। দয়ারবাজার থেকে আবার সিএনজি অটোরিকশাযোগে আট কিলোমিটার দূরবর্তী চড়ারবাজারে যেতে হয়। এ জন্য জনপ্রতি ভাড়া ২৫-৩০ টাকা পড়বে।
চড়ারবাজার থেকে ১৫ মিনিটের মতো হাঁটলেই পেয়ে যাবেন উতমাছড়ার দেখা। অথবা সরাসরি মাইক্রো বাস নিয়ে যেতে পারবেন, তবে বর্ষার সময় চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হবে।