ঈদে ঘোরাঘুরি
টিলাগড় ইকোপার্ক
সৌন্দর্যপিপাসু পর্যটকরা নিজের শরীরে একটু প্রশান্তি আনতে ঘুরে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সেই মানুষদের জন্যই অপেক্ষা করে আছে সিলেট শহর থেকে খুব কাছে দূরত্বে টিলাগড় ইকোপার্ক। পার্ক এ ঢুকেই দেখা যাবে সুনসান নির্জনতা, দূরে কোথাও অপরিচিত পাখির ডাক, গহিন বনে দীর্ঘ শালগাছের মগডালে দুষ্টু কাঠঠোকরা পাখিটি তার লম্বা চঞ্চু দিয়ে গাছের ডালে অবিরাম আঘাত করে চলছে।
হঠাৎ আপনার আগমন টের পেয়ে পাখিটি পালকের ঝাপটায় নীরবতা ভেঙে দিয়ে হারিয়ে যাবে টিলাগড় ইকোপার্কের গহিনে। আর ঝরা পাতাগুলো আপনার রাস্তাকে সাজিয়ে রেখেছে তার বেদনায়। তো, বন্ধুরা আর দেরি কেন? তারা সহজেই ঘুরে আসতে পারেনটিলাগড় ইকোপার্কে ।
যা দেখতে পাবেন
ইকোপার্কে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শতাধিক সিঁড়ি আপনাকে স্বাগতম জানাবে। পাখির কিচিরমিচির আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে। সারি সারি বৃক্ষমালা তার ফাঁক দিয়ে সূর্যদেবের আনাগোনা আপনাকে নিয়ে যাবে মনের গহিনে। ইকোপার্কের গহিনে ঢুকলেই প্রথমেই যে প্রাণীটির দেখা মিলবে সেটি হচ্ছে বিরল প্রজাতির বানর। তবে সবচেয়ে বেশি বানরের দেখা মেলে দুপুর ১২টার দিকে। মাঝেমধ্যেই দেখা মিলতে পারে চিতা বাঘ, গন্ধগকুল, বনমোরগসহ বিরল প্রজাতির অনেক প্রাণী। বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী এখানে প্রায় ১৫০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। ধোড়া, বোড়া, আলোদ, অজগরসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির সাপ রয়েছে। সেগুন, শাল, গর্জন, চাপালিশ, একাশিয়াসহ প্রায় ২০/২৫ প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। বনের অর্ধেক অংশেই সবচেয়ে বেশি বেতগাছ। তবে পার্কটি বৃক্ষপ্রেমী আর দর্শনার্থীদের প্রিয় স্থান।
পথের ঠিকানা
ঢাকা থেকে ট্রেন/বাসযোগে সিলেট যেতে পারবেন । স্টেশন থেকে সরাসরি যেতে পারবেন অথবা সিলেট শহরের বন্দর বাজার থেকে টিলাগড় ইকোপার্কে যেতে সময় লাগবে ৩০ মিনিটের মতো। সিএনজি অথবা মাইক্রোবাসে করে যেতে পারবেন। চাইলে রিকশা করেও যেতে পারবেন। সময় লাগবে বেশি। তবে প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করতে হলে রিকশা করে গেলে মন্দ হয় না।