বেড়াতে গিয়ে উপহার কিনেছেন, যেভাবে আনবেন?
বেড়ানো মানে শুধু ঘোরাফেরা নয়। কারণ কারও ইচ্ছা থাকে, বেড়াতে গিয়ে সেখানকার আকর্ষণীয় কিংবা নাম লেখা চুম্বক লাগানো স্টিকার কেনার। যেন ভবিষ্যতে স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে রয়ে যায়। আবার সেই জায়গার বিশেষত্ব অনুযায়ী জিনিসও কেনেন অনেকে। অনেকে আবার দার্জিলিং গেলে শীতের পোশাক, সমুদ্র সৈকতে গেলে ঝিনুক ও শঙ্খের ঘর সাজানোর জিনিস কেনেন। আর বাড়িতে থাকা প্রিয়জনেরা আশাও করেন বেড়াতে গিয়ে তাদের আপনজনরা ছোটখাটো উপহার নিয়ে আসবেন।
তবে সমস্যা হয় ভেঙে যেতে পারে এমন জিনিস পছন্দ হয়ে গেলে কিংবা কিনে ফেললে। যেমন-আগ্রার তাজমহল গেলে লোকজন কাচের বাক্সে ভরা তাজমহল কেনেন। কারণ, সব জায়গায় সেসব পাওয়াও যায় না। কিন্তু কিনে ফেলার পর চিন্তাটা চলে আসে, জিনিসগুলো নিরাপদে নিয়ে আসবেন কীভাবে?
ট্রেনে এলে বিষয়টা এক রকম, বিমানে এলে জিনিস ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে নিরাপদেই পছন্দের জিনিস নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন আপনি।
– ধাক্কা লাগলে ভেঙে যেতে পারে, এমন জিনিস কিনে ফেললে অবশ্যই তা কীভাবে মুড়বেন, ভেবে নিন। পুরু করে খবরের কাগজ জড়িয়ে উপর থেকে কোনও কাপড় দিয়ে জিনিসটি জড়িয়ে ফেলতে পারেন। ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলে প্রতিটি জিনিস আলাদাভাবে মুড়ে নিন।
– বেড়াতে যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছানোর সময় একটু জায়গা ফাঁকা রাখুন। যাতে সেই ফাঁক-ফোকরে নতুন কেনা জিনিস ভরে ফেলা যায়।
– সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ব্যাগ নিয়ে যান। নতুন জিনিস বেশি হয়ে গেলে যাতে সেই ব্যাগে ভরে নিতে পারেন। বিশেষত বিমানে কাচের বা অন্য ভঙ্গুর জিনিস আনলে চেষ্টা করুন একটি আলাদা ব্যাগে সেটি রাখতে। আকাশপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাগ স্ক্যান করার পর সরাসরি কর্মীরা বিমানের মালপত্র রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেন। অনেক সময় সেই ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভিতরের জিনিস ভেঙে যাওয়ার ভয়ও থাকে। সেই ব্যাগে না নিয়ে নিজের সঙ্গে জিনিসটি রাখুন।
– বিমানে আসতে হলে কোনো জিনিস কেনার আগে জেনে নিন, সেই ধরনের জিনিস উড়ানে নিয়ে আসার অনুমতি রয়েছে কিনা। না হলে শখের জিনিস বিমানবন্দরে ফেলে রেখে আসতে হতে পারে।
– উপহার কেনার সময় জিনিসের আকার নিয়েও ভেবে নিন। এমন বড় একটা জিনিস কিনলেন যা ট্রেনে বা বিমানে তুলতে ঝক্কি পোহাতে হল, তেমন হলে তা না নেওয়াই ভাল। বা কিনলেও ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তা নিয়ে আসা যেতে পারে।