দক্ষিণের প্রাচীন নদী সুগন্ধা

বরিশালের প্রতিটি এলাকায় জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট বড় অসংখ্য নদী। তেমনই একটি নদী সুগন্ধা ।
সুগন্ধা নদী বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মগরা, নলছিটি, কুলকাঠি ও পোনাবালিয়া হয়ে বিষখালি নদীতে পতিত হয়েছে। প্রায় ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীটি বেশ প্রশস্ত। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে চিরযৌবনা রূপ ধারণ করে।
বঙ্গোপসাগরের খুব কাছে হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে নদীর পাড়ের বাড়িঘর প্লাবিত হয়। বরিশালের প্রাচীনতম নদী সুগন্ধা মূলত গঙ্গার তিনটি শাখা নদীর সঙ্গমস্থল।
নামকরণ
কথিত আছে কালী বা তারা পিতৃগৃহে প্রত্যাবর্তনের পর তার পিতা স্বামী শিবকে নিন্দা করে। এ সংবাদে শিব বা মহাদেব শোকোন্মাদ হয়ে যায় এবং স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে তুলে নৃত্য করতে থাকে। এ নৃত্যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। এ দেখে মহাভাগ বিষ্ণুর চক্র দ্বারা তারার দেহ একান্ন খণ্ডে বিভক্ত করে এবং সে খণ্ডগুলো যে যে স্থানে পতিত হয়েছে সে স্থানগুলো তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
পাবনী, হলদিনী ও নলিনীর মিলিত মোহনায় তারা দেবীর নাসিকা পড়েছিল। সেজন্য ত্রিধারার মোহনার নাম সুগন্ধা হয়েছে। নাসিকা দিয়ে সুঘ্রাণ নেয়া হয়, তাই সুগন্ধা নাম।