আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের লড়াইয়ে অন্তত ৪৯ সেনা নিহত
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার তীব্র লড়াইয়ে অসংখ্য সৈন্য নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে কয়েক দশকের পুরোনো শত্রুতার জেরে ফের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার আর্মেনিয়া বলেছে, অন্তত ৪৯ সেনা এতে নিহত হয়েছে। যদিও হতাহতের কথা স্বীকার করলেও সংখ্যা জানায়নি আজারবাইজান। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরা।
২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের এক লড়াইয়ে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখের ওপর নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। এবারের সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে। এই সংঘর্ষ যুদ্ধের দিকে গড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন মুহূর্তে বিশ্বনেতারা দুদেশকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আজ মঙ্গলবার আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চলমান লড়াই থামানোর কথা বলেছেন।
অবিলম্বে যেকোনো ধরনের সামরিক সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই স্পষ্ট করে বলেছি, এই সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই।’
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী দাশকেসান, কেলবাজার ও লাচিন এলাকায় ‘বড় ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড’ চালানোর জন্য আজারবাইজান আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ট্রেঞ্চ মর্টারসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে দেশটির সেনা অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সেনা নিহতের কথা বলা হয়েছে, তবে কতজন নিহত হয়েছেন, সে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।