ইউরোপকে ইউক্রেনে ব্যস্ত রেখে রাশিয়ার নজর আফ্রিকায়
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/07/16/putin.jpg)
ইউরোপজুড়ে একটি বিষয়ে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে। তা হলো—ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘটনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ বিষয়কে আড়াল করে ফেলছে। ভয়েস অব আমেরিকা বলছে—বিষয়টি ক্রেমলিনের স্বার্থ রক্ষা করে পশ্চিমা দেশগুলোকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ইউরোপ ও ন্যাটোর একাধিক কর্মকর্তা মনে করেন—রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যত গভীরেই শক্তিপ্রয়োগ করুন না কেন, আফ্রিকাজুড়ে অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসবাদের উত্থানের বিষয়টি এড়ানো যাবে না। এবং সাহেল অঞ্চলের চেয়ে আর অন্য কোথাও এ উদ্বেগ এত দ্রুতগতিতে বাড়ছে না। সেনেগাল থেকে সুদান পর্যন্ত বিস্তৃত উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার অর্ধ-ঊষর অঞ্চলটি ‘সাহেল’ নামে পরিচিত।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/07/16/sahel-religious-terrorism_3.jpg 687w)
নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাজসা অলোংগ্রেন গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বলেছেন, ‘আধাসামরিক বাহিনী ওয়্যাগনারের হাজার দুয়েক সৈন্য পাঠিয়ে রুশরা সেই জায়গা (সাহেল) দখল করে নিচ্ছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।’
তবে, পূর্ব ইউরোপের ইউক্রেনে রুশ হুমকিটি আফ্রিকা বিষয়ক হুমকিকে আড়াল করার বিষয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশের কথা অলোংগ্রেন একাই বলছেন না।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/07/16/europe_warns.jpg 687w)
ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলিটারি স্টাফের সহকারী মহাপরিচালক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিওভানি ম্যানিওন গত মাসে ওয়াশিংটনের একটি ফোরামকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মতে—পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর এটির সবচেয়ে খারাপ যে প্রভাবটি পড়বে, তা হলো—এটি ইউরোপীয় (ইউনিয়নের) সদস্য দেশগুলোর মনোযোগ পূর্ব ইউরোপের রণক্ষেত্রে আটকে রেখেছে, যা দক্ষিণে আফ্রিকার বিষয়ে এরই মধ্যকার ক্ষীণ মনোযোগকে ক্ষীণতর করে ফেলছে।’
ম্যানিওন আরও ধারণা দেন—পুতিন যতই ইউক্রেন দখল করতে চান না কেন, তিনি একই সঙ্গে নিপুণভাবে সে লড়াইকে মনোযোগ সরানোর কৌশল হিসেবেও ব্যবহার করছেন।