ইমরানের সঙ্গে মার্কিন আইনপ্রণেতার বৈঠক, পাকিস্তানে নতুন বিতর্ক
পাকিস্তান সফর করছেন মার্কিন আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফ শপথ নেওয়ার পর এটাই মার্কিন কোনো আইনপ্রণেতার প্রথম ইসলামাবাদ সফর।
আর ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সদ্য বিদায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দাবি করে আসছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ছিল। খবর দ্য ডনের।
এই সফরে অনেক পাকিস্তানি নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন ইলহান ওমর। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খান ও জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। তবে ইমরান খানের সঙ্গে এই মার্কিন আইনপ্রণেতার বৈঠক নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে।
ইমরান খানের সদ্য সাবেক সরকারের মানবাধিকারমন্ত্রী শিরিন মাজারি টুইটে বলেছেন, ‘বানি গালায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর। তাঁরা ইসলাম-ভীতি ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
শিরিন মাজারি জানান, বৈশ্বিক পর্যায়ে ইসলাম-ভীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখায় এবং অবস্থান নেওয়ায় ইমরান খানের প্রশংসা করেছেন ইলহান। বিভিন্ন ইস্যুতে সাহসী ও নৈতিক অবস্থান নেওয়ায় ইলহানেরও প্রশংসা করেছেন ইমরান খান।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইনপ্রণেতার সঙ্গে বৈঠকের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নের মুখে পড়েন ইমরান খান। বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা বৈঠক করায় তাঁর সমালোচনার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তাঁরা।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিরোধী দলের বৈঠককে ষড়যন্ত্রমূলক বলে সমালোচনা করা ইমরান খানের বক্তব্যও স্মরণ করিয়ে দেন নতুন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকের বিষয়টি তদন্ত করা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
সানাউল্লাহ বলেন, ইমরান খান যদি নিজে থেকে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ না করেন, মন্ত্রী হিসেবে তিনি সেটা তদন্ত করবেন। কারণ, জনগণের সত্যটা জানা উচিত। অন্যথায় ইমরান খান নিয়াজি তাঁর স্বভাব অনুযায়ী কয়েক দিন পর আরেকটি চিঠি জনসমক্ষে আনবেন।