কাদির খানের জানাজায় না গিয়ে সমালোচনার মুখে ইমরান খান
পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের জনক ড. আবদুল কাদির খানকে ইসলামাবাদে দাফন করা হয়েছে। দেশটির মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সর্বস্তরের মানুষজন তাঁর জানাজায় অংশ নেয়। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এতে অংশ নেননি। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। পাকিস্তানের দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।
ইসলামাবাদে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ড. আবদুল কাদির খানকে দাফন করা হয়। এর আগে ফয়সাল মসজিদে তাঁর জানাজা হয়।
গতকাল রোববার সকালে ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের জনক হিসেবে পরিচিত ৮৫ বছর বয়সী আবদুল কাদির।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশে ড. আবদুল কাদির খানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।’
সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ’র জানাজায় অংশ নেওয়ার ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘করাচি থেকে সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী জানাজায় আসতে পেরেছেন, কিন্তু ইমরান খান কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও আসতে পারলেন না।’
অন্যদিকে, করাচিতে ড. কাদির খানের গায়েবানা জানাজা আদায় করেন সেখানকার জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
করাচি জামায়াতের আমির হাফিজ নাঈমুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানেরাসহ পুরো পাকিস্তানের মানুষজন ড. আবদুল কাদির খানের মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানাজায় না উপস্থিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাফিজ নাঈমুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সিনেটের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার এবং অ্যাসেম্বলিতে বিরোধীদলীয় নেতাও একইভাবে জানাজায় হাজির হননি।’