খেরসোনের বেসামরিক লোকজনকে বাড়িঘর ছাড়ার নির্দেশ রাশিয়ার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/10/14/raashiyyaa-chbi.jpg)
এগিয়ে আসতে থাকা ইউক্রেনের যোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত রকেট আক্রমণের মুখে খেরসোনের দক্ষিণ অঞ্চলে রাশিয়ার নিযুক্ত নেতা ভ্লাদিমির সালদো বেসামরিক লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজেদের জীবন রক্ষায় অবসর সময় কাটাতে ও পড়াশোনা করতে নাগরিকদের প্রতি রাশিয়ায় চলে যাওয়ার আবেদন জানান তিনি এবং মস্কোর সহায়তা কামনা করেন।
সালদোর আহ্বানের প্রতি একই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করে পরে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি বার্তা দেন রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী মারাত খুশনুলিন। তবে ইউক্রেন নিজেদের বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ বাতিল করে দিয়েছে। খবর বিবিসির।
সাম্প্রতিক পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেন সৈন্যরা খেরসোনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখল করে রাজধানী খেরসোন সিটির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও ক্রিমিয়ার বিষয়ে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত খুশনুলিন তার বার্তায় বলেন, ‘সরকার খেরসোন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে ও এই কাজে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা প্রত্যেক নাগরিককে বিনামূল্যে থাকার জায়গাসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়ে সহায়তা করবো।’
খেরসোন ছেড়ে আসা লোকজনের প্রথম দলটি শুক্রবার রাশিয়ার রুস্তভ এলাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ। তিনি বলেন, ‘রুস্তভের লোকজন খেরসোন ছেড়ে আসা প্রতিটি অধিবাসীকে স্বাগত জানাবে এবং তাদের থাকার ব্যবস্থা করবে।’
এদিকে সাম্প্রতিক হামলায় ইউক্রেনের যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে বেশ সাফল্য পেয়েছে বলে জানা গেছে। তারা এখন রুশ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং দিনিপার নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থানরত দখলদার বাহিনীর সৈন্যদের আটকে ফেলার হুমকি কৌশল নিয়েছে।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2022/10/14/raashiyyaa-skrin-shtt.jpg)
খেরসোনই হচ্ছে একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া মস্কোর আগ্রাসনের মাধ্যমে নিজেদের দখলে রেখেছিল। তবে, রাশিয়া ২০১৪ সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়া নিজেদের করে নেয়ার পর এই অঞ্চলে ইউক্রেন সৈন্যদের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দেশটির সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি।