জীবনে সব সঞ্চয় দিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য মাদ্রাসা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/03/23/paakistaan.jpg)
প্রথা ভেঙে পাকিস্তানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য একটি মাদ্রাসা চালু করা হয়েছে। এখানে তাঁদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি দরকারি অন্যান্য শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসাটি স্থাপন করেছেন রানি খান নামের তৃতীয় লিঙ্গের একজন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মাথায় সাদা রঙের একটা শাল বেঁধে রানি খান প্রতিদিন তাঁদের কোরআন শরিফ পড়তে শেখান। নিজের জীবনে সব সঞ্চয় ব্যবহার করে এই মাদ্রাসা চালু করেছেন তিনি। মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষক সবাই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
রক্ষণশীল মুসলিম দেশ পাকিস্তানে তৃতীয় লিঙ্গকে ২০১৮ সালে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোটাধিকারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/03/23/paakistaan_0.jpg 583w)
পাকিস্তানে ২০১৭ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী, তৃতীয় মানুষের সংখ্যা এক লাখ। তবে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে এ সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য সরকারি কোনো ধর্মীয় শিক্ষালয়ে কিংবা নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ না হলেও প্রতিটি পদে তাদের সাধারণ মানুষের ঘৃণা ও বিদ্রূপের শিকার হতে হয়।
৩৪ বছর বয়সী রানি খান বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিবারই তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানদের ঘর থেকে বের করে দেয়। তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়। একসময় আমি নিজেও তাদের মতো কষ্টভোগ করেছি।’ রানি বলেন, ‘আমার পরিবার আমাকে ১৩ বছর বয়সে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়।’