নামিবিয়া ‘গণহত্যার’ দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইল জার্মানি
বিশ শতকে ঔপনিবেশিক যুগে নামিবিয়ায় জার্মানির চালানো হত্যাকাণ্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস।
নামিবিয়ায় জার্মান বাহিনী ‘হেরেরো’ ও ‘নামা’ নামের দুই আদি জনগোষ্ঠীর অন্তত ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল। শুক্রবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই হত্যার ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘জার্মানির ঐতিহাসিক ও নৈতিক দায়িত্ব থেকে নিহতদের সব পরিবারের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।’
এ ছাড়া দায়িত্বের জায়গা থেকে দেশটির উন্নয়ন সহায়তায় জার্মানি ১৩৪ কোটি ডলারের আর্থিক অনুদানও দেবে বলে জানান তিনি। নামিবিয়ার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নানা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ৩০ বছরে এই আর্থিক অনুদান দেবে জার্মানি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
নামিবিয়া সরকারের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গণহত্যার দায় স্বীকার করা জার্মানির ‘সত্য ও সঠিকের পথে প্রথম পদক্ষেপ।’
১৮৮৪ থেকে ১৯১৫ পর্যন্ত নামিবিয়া জার্মান উপনিবেশ ছিল, যার নাম ছিল ‘জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা।’ তবে আর্থিক অনুদানের বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন প্রবীণ জার্মান নেতা। তারা সরকারের অনুদানের প্যাকেজ অনুমোদন করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের অভিপ্রায় নিয়ে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নির্মূল করা বা হত্যা করাকে ‘গণহত্যা’ বলা হয়।