প্রশাসনের শীর্ষ পদে যাঁদের বেছে নিচ্ছেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজনকে বাছাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদমে। সূত্রের বরাত দিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার অর্থনৈতিক খাতে শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করতে পারেন জো বাইডেন। এর আগে মন্ত্রী ও মন্ত্রী পদমর্যাদার ছয়জনের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। ওবামা প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালের সহকর্মীদের অনেককেই নিজের প্রশাসনে রাখছেন বাইডেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নিরা ট্যানডেনকে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সিসিলিয়া রৌজকে কাউন্সিল অব ইকনোমিক অ্যাডভাইজরসের চেয়ারম্যান করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এঁদের নাম বলা হয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল রোববার নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে ব্রায়ান ডিজকে ন্যাশনাল ইকনোমিক কাউন্সিলের প্রধান করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ২০০৯ সালে বারাক ওবামার অটো ইন্ডাস্ট্রির ঋণ মওকুফ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছিলেন ব্রায়ান ডিজ।
জো বাইডেন প্রবীণ ডেমোক্র্যাটিক মুখপাত্র জেন সাকিকে প্রেস সেক্রেটারি এবং নির্বাচনি প্রচারণার মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা কেইট বেডিংফিল্ডকে হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে, আজ সোমবার প্রথম অতিগোপনীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ব্রিফ পেতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। গতকাল রোববার তাঁর অফিসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে জো বাইডেন যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরুর প্রস্তুতিপর্বে ব্যস্ত সময় পার করছেন, ঠিক তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৩ নভেম্বরের ভোটের ফলাফল নিজের দিকে ঘোরাতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলে যাচ্ছেন। ট্রাম্প বলেছেন, আগামী ছয় মাসেও তিনি নির্বাছনের ফল মেনে নেবেন না। নির্বাচনের পর দেওয়া প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ফক্স নিউজকে গতকাল রোববার এ কথা বলেন ট্রাম্প। যদিও গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো পরাজয় স্বীকার করার কথা জানান ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে বাইডেন বিজয়ী হলে অবশ্যই তিনি তা মেনে নেবেন।