ব্রিটেনের কাছে বন্দি হয়ে থাকতে পারে না স্কটল্যান্ড : স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার
ব্রিটেনের স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার (মুখ্যমন্ত্রী) ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি) নেতা নিকোলা স্টারজেন বলেছেন, ‘স্কটল্যান্ড তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের কাছে বন্দি হয়ে থাকতে পারে না।’ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনা নাকচ করার পর তিনি এ কথা বললেন। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
বরিস জনসনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে স্টারজেন বলেছেন, দ্বিতীয় একটি গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে অস্বীকৃতির কারণে স্কটিশদের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য সমর্থনই কেবল বাড়ছে। ব্রিটেনে সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দলের সাফল্য স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে নতুন করে গণভোট করার প্রতিই গণরায় বলে মন্তব্য করেছেন স্টারজেন। তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার যদি মনে করে থাকে গণভোটকে না বলে দিলেই বিষয়টি এখানে থেমে যাবে তাহলে ভুল করবে। কারণ এটি গণতন্ত্রের একটি মৌলিক বিষয়। আপনারা স্কটল্যান্ডকে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ভেতর আটকে রাখতে পারেন না।’
এসএনপি নেতা স্টারজেন বলেন, ‘স্কটিশ ভোটাররা টোরিদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্রেক্সিটকে না বলেছে। তাতে এটা পরিষ্কার যে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই নিতে চাই। তবে যারা এসএনপিকে ভোট দিয়েছেন তারা সবাই যে স্বাধীনতাকে সমর্থন করবেন তা আমি মনে করি না। কিন্তু এ প্রশ্নের ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ না, বরিস জনসনও সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এটি স্কটল্যান্ডের জনগণের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
জনসন ব্রিটেনের অখণ্ডতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকলে স্কটল্যান্ডের ব্যাপারে স্কটিশদের সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্টারজেন।
২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হলেও তাতে ‘না’ ভোট জয়লাভ করে। স্বাধীনতার বিপক্ষে পড়েছিল ৫৫ শতাংশ এবং পক্ষে পড়েছিল ৪৪ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ খুব কম ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল ‘না’ ভোট। স্কটল্যান্ডের নেতারা এখন আবারও স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাতে রাজি হচ্ছে না।