মিয়ানমারে বিক্ষোভে নিহতের শেষকৃত্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মিয়ানমারজুড়ে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিহতদের একজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়ও নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শনিবার বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালসহ মিয়ানমারে অন্তত ১১৪ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও।
সব মিলিয়ে দেশটিতে ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইয়াঙ্গুনের কাছে বাগো শহরে শনিবার নিহত ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী থায়ে মং মংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে রোববার নিরাপত্তা বাহিনী ফাঁকা গুলি চালায়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
‘যখন আমরা তার (নিহত) জন্য বিপ্লবের গান গাইছিলাম, তখনই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসে আমাদের দিকে গুলি ছোড়ে। গুলির মুখে সেখানে থাকা সবাই পালিয়ে যায়, আমরাও পালাই,’ বলেছেন থায়ে মং মংয়ের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়া আয়ে নামের এক নারী।
গত শনিবার ছিলো মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবস। সেদিন রাজধানী নেপিদোতে সেনা কুচকাওয়াজের পরপরই সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে চরম দমনপীড়ন চালানো হয়।
একদিন ১১৪ জন নিহত হয় বলে দাবি করেছে রয়টার্স। শুধু মান্দালয় শহরেই শিশুসহ অন্তত ৪০ জন ও ইয়াঙ্গুনে ২৭ জন নিহত হয়। বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ দিনই সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন পার করেছে মিয়ানমার।