মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে ‘কঠিন পরিণতি’র হুঁশিয়ারি জাতিসংঘের
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারীদের প্রতি কঠোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে তার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে দেশটির সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সোয়ে উইনকে সোমবার ফোন করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার বার্জেনা এই হুঁশিয়ারি দেন। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অধিকারকে যেন অবশ্যই পুরোপুরি সম্মান করা হয় ও বিক্ষোভকারীদের প্রতিহিংসার শিকার যেন না করা হয় তা নিশ্চিত করতে চাপ দেন শানার।’
‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তিনি জানান, বিশ্ব নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও কঠোর কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে’ যোগ করেন জাতিসংঘের এই মুখপাত্র।
ফোনালাপ সম্পর্কে সোয়ে উইন জাতিসংঘের দূতের সঙ্গে প্রশাসনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ও তাকে ‘মিয়ানমারের যা ঘটছে সেই সত্যিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে’ তথ্য দিয়েছেন বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশটিতে গণবিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার রাতে প্রধান শহরগুলোতে সাঁজোয়া যান ও সেনা মোতায়েন করা হয়। তা সত্ত্বেও প্রতিবাদকারীরা সোমবার ফের বিক্ষোভ দেখান।
এদিকে আল জাজিরা এক প্রতিবেদন জানায়, প্রায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হতে শুরু করেছে মিয়ানমারে। স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় নেটব্লকস।