রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনারা ১০ দিনের মধ্যে কাজাখস্তান ছাড়বে
আগামী দুদিনের মধ্যেই কাজাখস্তানে মোতায়েন রুশ নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সেনারা চলে যেতে শুরু করবে। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট তোকায়েভ আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেছেন।
সম্প্রতি কাজাখস্তানে জ্বালানির মূল্য দ্বিগুণ করে সরকার। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রেসিডেন্ট কাশিম–জোমার্ট তোকায়েভ রুশ নেতৃত্বাধীন জোট সেনাদের সহযোগিতা চান। এরপরই রাশিয়ার নেতৃত্বে প্রায় আড়াই হাজার সেনা কাজাখস্তানে পাঠানো হয়।
আজ তোকায়েভ বলেন, সহিংস বিক্ষোভ ঠেকাতে আসা এসব সেনা প্রত্যাহারে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে না। খবর রয়টার্স ও এএফপির।
সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রভুক্ত পাঁচ দেশ কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং রাশিয়াকে নিয়ে একটি সামরিক জোট রয়েছে। এই জোটের নাম কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা সিএসটিও। জোটের সদস্য হওয়ায় সাময়িকভাবে কাজাখস্তানে জোট সেনা মোতায়েন করা হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে সরকার ও পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ বলেছেন, সিএসটিও শান্তিরক্ষী বাহিনীর মূল মিশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে সিএসটিও শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্টের প্রত্যাহার শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ হতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে না।
গত সপ্তাহে ওই বিক্ষোভ শুরুর পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হন। সহিংসতা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তখন কাজাখস্তানে আসে সিএসটিও জোটের দুই হাজারের বেশি সেনা। সহিংস বিক্ষোভ পরিস্থিতি শান্ত হলেও এসব সেনা এখনো রয়ে গেছেন।