সুদানে অবতরণের মুহূর্তে তুরস্কের উদ্ধারকারী বিমানে গুলি
নিজ দেশের নাগরিকদের উদ্ধারে সুদানে বিমান পাঠিয়েছিল তুরস্ক। সেই বিমান সুদানের রাজধানী খার্তুমের ওয়াদি সেইদনা বিমানবন্দরে নামার সময় সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এতে হতাহত বা বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
তুরস্কের বিমানে হামলার জন্য আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করছে সুদানের সেনাবাহিনী। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করছে আরএসএফ। তারা বলছে, বিমানে গুলি চালিয়ে বর্ধিত যুদ্ধবিরতি মানা হচ্ছে না।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়া বিমানটি সি-১৩০ মডেলের। গুলি লাগার পরেও এটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। গুলিতে বিমানটির জ্বালানি ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরে তা মেরামতের কাজ চলছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে, বিমানটিতে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে, সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতি আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানোতে একমত হয়েছে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ। মানবিক সহায়তা যেন দেশটিতে পৌঁছাতে পারে সে জন্যই এই যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছে দুপক্ষ। তবে, এরপরেও আজ খার্তুমের বিভিন্ন অংশে গোলাগুলি হয়েছে।
ক্ষমতা দখলের দ্বন্দ্বে ১৪ দিন আগে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। দুপক্ষের এই সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে দশ হাজারেরও বেশি। এই সংঘর্ষের জেরে এক কোটি লোকের আবাস্থল খার্তুমে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানি নেই। যুদ্ধ বন্ধে জড়িত বিদেশি কর্তৃপক্ষ বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।