সোলেইমানি হত্যার ঘটনায় খুশি ইসরায়েলের বিরোধী দল
ইরাক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নানা দেশ ও বিশ্ব নেতারা। অনেকেই এ হত্যার সমালোচনা করেছেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিড।
ইসরায়েলের বিরোধী দল ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা ইয়ার লাপিড ইরানি জেনারেলের হত্যার ঘটনার প্রশংসা করে বলেছেন, তার যা প্রাপ্য ছিল তিনি ঠিক তাই পেয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গ্রিস সফরে আছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় সফর শেষ না করেই দেশে ফিরছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, ইরানি সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছে তার অফিস।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গ্রিস সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসছেন। ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির মাউন্ট হারমনে একটি স্কি রিসোর্ট বন্ধ করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আদেশ দিয়েছে। দেশটি তাৎক্ষণিকভাবে আর কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়নি।
এ দিকে সোলেইমানি নিহত হওয়ার পরই শুক্রবার সকালে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ইস্যুতে এই বৈঠকে থাকবেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোচাভি ও অন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
এছাড়া এরই মধ্যে বিশ্বের সব ইসরায়েলি দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে, প্রতিশোধ নিতে যে কোনো সময় তাদের ওপর হামলা চালাবে ইরান।
শুক্রবার ভোররাতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এলিট শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন।