মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরানে সামরিক মহড়া শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নতুন নিষেধাজ্ঞার জবাবে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইরান। স্থানীয় সময় শনিবার মহড়া চালায় ইরান সেনাবাহিনী।
ইরানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটির উত্তরাঞ্চলের সেমনান প্রদেশে ওই মহড়া চালানো হয়। বিভিন্ন হুমকির বিরুদ্ধে নিজেদের প্রস্তুত ও হোয়াইট হাউসের হাস্যকর নিষেধাজ্ঞার জবাবেই ওই মহড়ার আয়োজন করা হয়।
ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা ইরানকে রক্ষা করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যদি দেখি, শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র তাদের মাথায় পড়বে।’
সম্প্রতি একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রশাসন।
ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ১৩ ব্যক্তি ও ১২টি কোম্পানি। তারা বিভিন্নভাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান আগুন নিয়ে খেলছে। তারা বুঝতে পারেনি প্রেসিডেন্ট ওবামা তাদের প্রতি কতটা দয়া দেখিয়েছিলেন। আমি দেখাতে পারব না।’
তবে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের জবাবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এক অনভিজ্ঞ ব্যক্তি’ হুমকি দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে শুরু করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মতো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ইরানের নেতাদের চাপে রাখতে হবে।’