পাকিস্তানে তাপপ্রবাহে মৃত ১৩৬

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে টানা কয়েক দিনের তাপপ্রবাহে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই প্রাদেশিক রাজধানী করাচির জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে (জেপিএমসি) মারা গেছেন।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দ্য ডন জানিয়েছে, শনিবার ও রোববার রাত পর্যন্ত জেপিএমসিতে ৮৫ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে অথবা এখানে আসার পর তাঁরা মারা গেছেন। সবাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
জেপিএমসির যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক ড. সিমিন জামালি বলেন, ‘গত শনিবার রাত পর্যন্ত ৮৫ জন মারা গেছে।’ এদের বেশির ভাগের বয়স ৫০ বা এর বেশি।
ড. জামালি বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ৩০ জনের মৃত্যু হয়, আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বাকি ৫৫ জন মারা যায়।’ এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি ভয়াবহ তাপমাত্রাকে দায়ী করেন।
অনেক রোগী চিকিৎসকদের বলেন, তাঁরা হঠাৎ করে পড়ে যান। এর পর মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
কর্মকর্তারা জানান, শনিবার রাত ১০টায় সর্বপ্রথম হৃদরোগে আক্রান্ত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর পর তা প্রায় ১০০-তে গিয়ে পৌঁছায়।
জেপিএমসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখনো হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী পাচ্ছি।’
করাচি মেট্রোপলিটন করপোরেশনের (কেএমসি) জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সালমা কাউসার জানান, আব্বাসি শহীদ হাসপাতালে রোববার ২০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৩ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালটি তদারক করে কেএমসি কর্তৃপক্ষ। ড. সালমা জানান, কেএমসি পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে এ মুহূর্তে শতাধিক রোগীর চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন. বেশির ভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে করাচিতে। এখানকার তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস, যা সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বেশি।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবারও তাপপ্রবাহ চলবে। তবে মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছু কমে আসবে।
১৯৭৯ সালে করাচিতে সবচেয়ে বেশি ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত মাসে ভারতে তাপপ্রবাহে দুই সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।