মার্কিন বন্দিদের মুক্তি দেবে না ইরান
আটক নাগরিকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সাড়া দেয়নি ইরান। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার।
স্থানীয় সময় শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম ঘাসেমি দেশটির এ অবস্থানের কথা জানান।
ঘাসেমি বলেন, অন্য অনেক দেশের মতো ইরানের বিচারব্যবস্থা, আদালত ও বিচারপতিরা সম্পূর্ণ স্বাধীন। তাঁদের ওপর খবরদারি করার কোনো এখতিয়ার ইরান সরকারের নেই। তাই দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
ঘাসেমি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি-ধমকি ইরানের বিচারব্যবস্থার ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সেখানে আটক ইরানের নাগরিকদের মুক্ত করে দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বেশ কয়েকজন ইরানিকে বিনা কারণে আটক করেছে বলেও মন্তব্য করেন ঘাসেমি।
গত শুক্রবার ইরানে আটক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মুক্তি না দিলে ‘মারাত্মক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আটক ও জিম্মি করা ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় নীতি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের এ ধরনের অভ্যাসে ইতি টানতে চান।
ইরানে আটক মার্কিনিদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সাবেক কর্মকর্তা রবার্ট লেভিনসন। তাঁকে মুক্তি দিতে ইরানকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০০৭ সালে ইরানের কিশ দ্বীপ থেকে নিখোঁজ হন লেভিনসন।
গত বছর আটক করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিউই ওয়াংকে। তাঁকে ১০ বছরের সাজা দেন ইরানের একটি আদালত। এ ছাড়া ইরানি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী সিয়ামাক নামাজি ও তাঁর বাবা বাকুয়ার নামাজিকে (৮১) গ্রেপ্তার করে ইরান।
বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ইরানের একটি আদালত ওই ব্যবসায়ী বাবা-ছেলেকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।